আরব দেশে আয়ুর্বেদ
মুসলমান আক্রমণের পর ভারতের বাইরে আয়ুর্বেদ জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে। বাগদাদে খলিফা হারুন অল রসিদ (৭৬৩-৮০৯খৃঃ) আয়ুর্বেদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং চরক সুশ্রুত ইত্যাদি আরবিতে অনুবাদ করান। তাঁর সভায় মঙ্খ নামে একজন ভারতীয় চিকিৎসক ছিলেন এবং আয়ুর্বেদের বিষক্রিয়া সম্বন্ধীয় অংশগুলির ফারসি অনুবাদ করেন। চরক সংহিতা অনুবাদ করেন আলি ইবন জৈন এবং অনুদিত সুশ্রত সংহিতার নাম হয় 'কিলল সশুর অল হিন্দি'। বাগভট্টের অষ্টাঙ্গহৃদয় ও মাধবকরের নিদান ও আরবিতে ঐ সময়ে অনুদিত হয়। অষ্টম বা নবম শতাব্দীতে নাগার্জুন চোলাই করা, সত্ত্বপাতন, উৰ্দ্ধপাতন প্রভৃতি পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। বহু বিদ্যার্থীকে চিকিৎসা ও ভেষজ বিদ্যা শেখাবার জন্য হারুন অল রসিদ ভারতে পাঠিয়ে ছিলেন এবং বহু ভারতীয় চিৎিসককে নিয়ে গিয়ে বাগদাদে ও অন্যান্য হাসপাতালে নিযুক্ত করেছিলেন এবং বহু গ্রন্থ অনুবাদ করিয়েছিলেন। অর্থাৎ ইউনানি শাস্ত্রের ওপর আয়ুর্বেদের প্রভাব অনস্বীকার্য।
নিবেদনে- সনাতন সংবেদ।
#কৃষ্ণকমল মিন্টু
কোন মন্তব্য নেই