sanatansangbed

Introduction of SANATAN dharma scriptures

যমদ্বিতীয়া বা ভাতৃদ্বিতীয়া

কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়াকে চলিত কথায় ভাতৃদ্বিতীয়া ও বলা হয়। চান্দ্রকার্তিক মাসে হয়ে থাকে এবং কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া দিন ভ্রাতৃপূজা না করলে সাত জন্ম ভ্রাতৃনাশ ঘটে থাকে, এমনটা আমাদের পুরাণ শাস্ত্র সমুহ আমাদের নির্দেশ দিয়ে আসছে। 
মহাভারত থেকে জানা যায়- পূর্বে কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে যমুনা যমকে নিজ গৃহে পূজা করে ভোজন করিয়েছিলেন এই জন্য সকলেরই এই দিন ভাইকে নিজগৃহে ভোজন করাতে হয়। এই দিন বোনের হাতে ভোজন করলে সকল প্রকার মঙ্গল হয়, সুতরাং বোনের হাতে ভোজন করে তাকে উপহার প্রদান করা বিধেয়। 
"কার্ত্তিকে তু দ্বিতীয়ায়াং শুক্লায়াং ভাতৃপূজনম। 
বা ন কুর্য্যাৎ বিনশ্যন্তি ভ্রাতরঃ সপ্তজন্মনি॥” 
যমদ্বিতীয়ায় বোনের হাতে ভোজনই প্রশস্ত, এজন্য ভোজনকালে যে পঞ্চম যামার্দ্ধ, সেই পঞ্চম যামার্দ্ধ সমস্যে তিথি প্রাপ্ত হলেই এই কৃত্য হবে।

পদ্মপুরাণে যমদ্বিতীয়া-ব্রতের বিধান এইরকম লেখা আছে- 

কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়ার দিন এই ব্রত অনুষ্ঠান করলে, অপমৃত্যুর ভয় থাকে না। এই দিন প্রাতঃকৃত্য সমাপন করে শুভ ঔড়ম্বর(যজ্ঞ ডুমুর) বৃক্ষে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে স্থাপন করে নানা উপচারে পূজা করতে হয়। তারপরে মৃত্যু বিনাশের জন্য সালঙ্কারা ধেনু ব্রাহ্মণকে দান করা আবশ্যক। ধেনুর অভাবে সবস্ত্র উদকুম্ভ দান করা যেতে পারে। 
পরে সরস্বতী পূজা করে যত্ন পূর্বক বোনের হাতে ভোজন করবে এবং তাকে বস্ত্র ও অলঙ্কার দিবে। এই ব্রত প্রভাবে সংবৎসর মধ্যে কারও সাথে কলহ হয় না, যমদূত সকল ব্রতানুষ্ঠানকারীর দূরে থাকে, এতে অপুত্র ব্যক্তি পুত্র পায়, নির্ধন ধন লাভ করে এবং তার সাত জন্মকৃত পাপ বিদূরিত হয়, হত্যাদি।
সুত্র- বিশ্বকোষ, পৌরাণিকা।
#কৃষ্ণকমল মিন্টু

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.