সনাতন সংগঠনের যুগ পূর্তি
দীর্ঘ ১২ বছরের পথ পরিক্রমায় যাঁদের সহায়তা পেয়েছি, যারা সমালোচনা করেছেন, যারা সাথে থেকেছেন তাঁদের সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। শুধু ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির ঐক্যই নয়; সংগঠনের সাথে সংগঠনের ঐক্য গঠনে আমরা এক যুগ আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি এবং এই কাজে আমরা যথেষ্ট সফলতাও অর্জন করতে পেরেছি। অতীতে দুটা সংগঠন মিলে একটা কাজ যেখানে করতো না সেখানে এখন ২০ থেকে ৩০ টা সংগঠন মিলিত ভাবে নানান উদ্যোগকে সফল করতে ভুমিকা রাখছে। অন্য সংগঠনের উদ্যোগকে সফল করতে আমরা তাঁদের কর্মী হয়ে কাজ শুরুর করেছিলাম ২০০৭ সাল থেকেই। এই ভাবেই সাংগঠনিক ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টির সূত্রপাত হয়।
প্রেক্ষাপটঃ
এতো পূজা হচ্ছে, এতো ধর্মীয় উদ্যোগ, তবুও কেন হিন্দুরা বীর্য হীন, শক্তি হীন, পলায় প্রবল জাতিতে পরিনত হয়েছে? সেই সময়েই বুঝেছিলাম অধিকার, সম্মান ও অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার জন্যে যে সব কাজ করা প্রয়োজন; সেই কাজ আমরা করতে পারছিনা বলেই পিছিয়ে যাচ্ছি। ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ ৬ বছর ধরেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। সেই সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শিক্ষা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তি উন্নয়নকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ত্বরান্বিত করতে হবে।
উদ্যোগ গ্রহনঃ
১। ধর্ম চর্চার সাথে সাথে আমাদের কুসংস্কার মুক্ত হতে হবে। নির্ভরশীলতাকে ত্যাগ করে আত্মশক্তির জাগরণ ঘটাতে হবে
২। সনাতন সম্প্রদায়ের শিক্ষা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তি উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে। এই উন্নয়ন গুলিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে, সহযোগিতার বলয়ে সম্পন্ন করতে হবে। ধর্ম ভিত্তিক ঐক্য দ্রুত আনা সম্ভব হবেনা কিন্তু একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ঐ চার উন্নয়নকে বেগবান করার কাজটা খুবে বেশি কঠিন হবেনা এবং অতিরিক্ত সময় সাপেক্ষও হবেনা
৩। যুব জাগরণকেই প্রাধান্য দিয়েছি আমরা। আমরা জানতাম আজকের যুবকরাই হবে ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারক। তাই আজকের যুবকদের চেতনাগত ও উন্নয়ন মুখি করতে পারলে ওরাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিজেদের থেকে শক্তিশালী করে গঠন করতে পারবে
৪। অধিকারহীন জাতির বিলাসিতা করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়। সুতরাং আমাদের অতিব্যায় ও অপব্যায় গুলিকে হ্রাস করে সেই অর্থ উন্নয়নমূলক কাজকে বেগবান করতে বিনিয়োগ করতে হবে। সেই খেত্র গুলিকে আমরা ধারাবাহিক ভাবে চিহ্নিত করে জনমত গঠন করার কাজ করছি
৫। মন্দির ভিত্তিক বিয়ের বিষয়ে প্রথম উদ্যোগ নিয়ে আমরা জনমত গঠনের কাজ করছি
৬। বারোয়ারী পূজার উদ্যোগ হতে রাজসিকতা ও তামসিকতাকে হ্রাস করে সাত্ত্বিক পূজার আয়োজন করতে আমরা অতিব্যায় ও অপব্যায় গুলিকে চিহ্নিত করে; সেই গুলিকে হ্রাস ক্রয়ার জন্যে জনমত গঠন করছি
৭। আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন এবং উন্নয়ন দিয়েই পৃথিবী শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়। পূর্বে ভগবান সুদর্শন চক্র দিয়ে পৃথিবীর অন্যায়কে রোধ করে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করতেন। বর্তমান সময়ে সরস্বতী দেবীর আশীর্বাদে ও লক্ষ্মী দেবীর ভাণ্ডারে যাঁরা সমৃদ্ধ তাঁরাই পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সুতরাং শুদ্ধ ধর্মভাবাপন্ন হয়ে শিক্ষা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তি উন্নয়নকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ত্বরান্বিত করতে হবে। সনাতন সংগঠন এই কাজ গুলিকে বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে
৮।শুধু ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির উন্নয়নই নয়, সংগঠনের সাথে সংঘটনের ঐক্য গঠনে আমরা এক যুগ আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি
৯। পদ পদবীর মোহ মুক্ত হয়ে দায়িত্ব কর্তব্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করে আমরা ২০০৭ সাল থেকেই পদ পদবী ছারাই কোর্ডিনেটর সিস্টেমে সংগঠনের কাজকে এগিয়ে নিয়েছি। সংগঠনের ভাঙ্গনটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই ধারাতে এক যুগ ধরে আমরা ভাঙ্গন মুক্ত থাকতে পেরেছি আমরা। আশা করছি এই ধারাবাহকতা ভবিষ্যতেও বিদ্যামান থাকবে।
পরিশেষে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
শ্রীঅশোক চক্রবর্তী
প্রতিষ্ঠাতা
সনাতন সংগঠন
প্রেক্ষাপটঃ
এতো পূজা হচ্ছে, এতো ধর্মীয় উদ্যোগ, তবুও কেন হিন্দুরা বীর্য হীন, শক্তি হীন, পলায় প্রবল জাতিতে পরিনত হয়েছে? সেই সময়েই বুঝেছিলাম অধিকার, সম্মান ও অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার জন্যে যে সব কাজ করা প্রয়োজন; সেই কাজ আমরা করতে পারছিনা বলেই পিছিয়ে যাচ্ছি। ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ ৬ বছর ধরেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। সেই সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শিক্ষা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তি উন্নয়নকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ত্বরান্বিত করতে হবে।
উদ্যোগ গ্রহনঃ
১। ধর্ম চর্চার সাথে সাথে আমাদের কুসংস্কার মুক্ত হতে হবে। নির্ভরশীলতাকে ত্যাগ করে আত্মশক্তির জাগরণ ঘটাতে হবে
২। সনাতন সম্প্রদায়ের শিক্ষা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তি উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে। এই উন্নয়ন গুলিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে, সহযোগিতার বলয়ে সম্পন্ন করতে হবে। ধর্ম ভিত্তিক ঐক্য দ্রুত আনা সম্ভব হবেনা কিন্তু একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ঐ চার উন্নয়নকে বেগবান করার কাজটা খুবে বেশি কঠিন হবেনা এবং অতিরিক্ত সময় সাপেক্ষও হবেনা
৩। যুব জাগরণকেই প্রাধান্য দিয়েছি আমরা। আমরা জানতাম আজকের যুবকরাই হবে ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারক। তাই আজকের যুবকদের চেতনাগত ও উন্নয়ন মুখি করতে পারলে ওরাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিজেদের থেকে শক্তিশালী করে গঠন করতে পারবে
৪। অধিকারহীন জাতির বিলাসিতা করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়। সুতরাং আমাদের অতিব্যায় ও অপব্যায় গুলিকে হ্রাস করে সেই অর্থ উন্নয়নমূলক কাজকে বেগবান করতে বিনিয়োগ করতে হবে। সেই খেত্র গুলিকে আমরা ধারাবাহিক ভাবে চিহ্নিত করে জনমত গঠন করার কাজ করছি
৫। মন্দির ভিত্তিক বিয়ের বিষয়ে প্রথম উদ্যোগ নিয়ে আমরা জনমত গঠনের কাজ করছি
৬। বারোয়ারী পূজার উদ্যোগ হতে রাজসিকতা ও তামসিকতাকে হ্রাস করে সাত্ত্বিক পূজার আয়োজন করতে আমরা অতিব্যায় ও অপব্যায় গুলিকে চিহ্নিত করে; সেই গুলিকে হ্রাস ক্রয়ার জন্যে জনমত গঠন করছি
৭। আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন এবং উন্নয়ন দিয়েই পৃথিবী শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়। পূর্বে ভগবান সুদর্শন চক্র দিয়ে পৃথিবীর অন্যায়কে রোধ করে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করতেন। বর্তমান সময়ে সরস্বতী দেবীর আশীর্বাদে ও লক্ষ্মী দেবীর ভাণ্ডারে যাঁরা সমৃদ্ধ তাঁরাই পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সুতরাং শুদ্ধ ধর্মভাবাপন্ন হয়ে শিক্ষা, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তি উন্নয়নকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ত্বরান্বিত করতে হবে। সনাতন সংগঠন এই কাজ গুলিকে বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে
৮।শুধু ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির উন্নয়নই নয়, সংগঠনের সাথে সংঘটনের ঐক্য গঠনে আমরা এক যুগ আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি
৯। পদ পদবীর মোহ মুক্ত হয়ে দায়িত্ব কর্তব্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করে আমরা ২০০৭ সাল থেকেই পদ পদবী ছারাই কোর্ডিনেটর সিস্টেমে সংগঠনের কাজকে এগিয়ে নিয়েছি। সংগঠনের ভাঙ্গনটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই ধারাতে এক যুগ ধরে আমরা ভাঙ্গন মুক্ত থাকতে পেরেছি আমরা। আশা করছি এই ধারাবাহকতা ভবিষ্যতেও বিদ্যামান থাকবে।
পরিশেষে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
শ্রীঅশোক চক্রবর্তী
প্রতিষ্ঠাতা
সনাতন সংগঠন
কোন মন্তব্য নেই