অবদান স্বীকার করার জন্যেই রথের দড়ি টানবেন
পূন্য অর্জন বা বল বৃদ্ধি বা স্বর্গ প্রাপ্তির আশা করে রথের দড়ি টানবেন না। এই সব লোভ না দেখালে মানুষ দড়ি টেনে জগন্নাথকে সচল করতে চাইবে না এমন ধারণা থেকেই লোভ যুক্ত আহব্বান গুলি করা হয়েছিল। রথের দড়ি টানলে বল বৃদ্ধি পায়না, আয়ু বৃদ্ধি হয়না, স্বর্গপ্রাপ্তিও হয়না।
তাহলে কেন রথের দড়ি টানবেন?
প্রায় সারে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে শ্রীকৃষ্ণ নিজের সব সুখ স্বাচ্ছন্দ্যকে বিসর্জন দিয়ে পুরো পৃথিবীকেই তাঁর পরিবার মনে করেছেন। এক রাষ্ট্র, এক রাজ্য, এক নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করে পৃথিবীকে সাম্রাজ্য বিস্তারের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ প্রাই সারে তিন হাজার বছর ধরে শান্ত রেখেছিলেন। তাঁকে সবাই এক বাক্যে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে মেনে নিয়েছেন এবং তিনি সেই ভাবেই সবার কাছে পূজিত হচ্ছেন। তাঁর কর্মই তকে মহান বানিয়েছে। তাঁর এই অবদান স্বীকার করে শ্রদ্ধাবনত হয়ে তাঁর প্রতীককে সচল করতে ভুমিকা রাখবেন এর থেকে বড় মনোগত প্রশান্তি আর কী হতে পারে?
লোভে নয়, কর্তব্য পালন করতে হবে শ্রদ্ধাবান হয়ে। আমরা গুণীর গুণের কদর করি তাই গুণী শ্রেষ্ঠ ও যোগেশ্বরকে আজীবন শ্রদ্ধকরে যাবো এবং তাঁর প্রতীককে সচল রাখার মাধ্যমে তাঁর দেখানো সিদ্ধান্ত গুলিকে কার্যকর করতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভুমিকা রাখব।
স্বর্গ চাইনা, পূণ্যের প্রয়োজন নেই। নতুন প্রজন্ম দায়িত্ববান হোক, কর্তব্যপরায়ণ হোক। নতুন প্রজন্ম লোভি বা বিনিময় শর্তে কর্তব্য পালন করবেনা। কর্তব্যপরায়ণতাটা মানবীয় শ্রেষ্ঠ গুণাবলির অন্যতম বলেই তাঁরা দায়িত্বশীল হবে। নতুন প্রজন্ম এমন হতে পারলে মৃত্যুর পর নয় মৃত্যুর পূর্বেই স্বর্গ সুখ ভোগ করতে পারবে।
শ্রীঅশোক চক্রবর্ত্তী
প্রতিষ্ঠাতা
সনাতন সংগঠন -বাংলাদেশ।
কোন মন্তব্য নেই