নিজে সুস্থ থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে শক্তিশালী করে গঠন করুনঃ
১২ মাসের দেশিয় ফল নিয়ম করে খাবেন, এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। জল চিকিৎসা করুন, নিয়মিত একই সময়ে খাদ্য গ্রহণ করুন। সমস্যা থাকবেই, কিন্তু চিন্তামুক্ত থাকুন। চিন্তা করলেও সমস্যাকে মোকাবেলা করতে হবে, না করলেও করতে হবে। সুতরাং চিন্তা করে শারীরিক ক্ষতিকে ত্বরান্বিত করবেন না। প্রতিদিন নিয়মকরে ব্যায়াম করুন। যোগ ও প্রাণায়ম করলে জীবনিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। নিজে সুুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ সবল করে গঠন করুন।
যে সব নিয়ম মানতে হবেঃ
১। জল চিকিৎসাঃ ভোরে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস জল খেতে হবে। খাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে এক বা একাধিক গ্লাস জল খেতে হবে। খাওয়ার সময় জল তেষ্টা পেলে গলা ভিজিয়ে নেওয়ার জন্যে সামান্য জল পান করবেন। খাওয়া শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ভালো করে জল খাবেন। কুসুম গরম জল খেলে সব থেকে বেশি ভালো হয়।
২। রাত ১২ টার পর রাত জাগা যাবেনা। রাত ১১ টার মধ্যেই রাতের খাওয়া খেয়ে নিতে হবে। ৯ টায় রাতের খাওয়া খেয়ে নিতে পারলে সব থেকে বেশি ভালো হবে। বেশি রাতে ঘমানোর কারণে আমরা বেশি অসুস্থ হই। বড় বড় রোগ গুলি এর কারণেই হয়।
৩। প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম করবেন। রাতে অর্থাৎ সন্ধ্যার পর করতে পারলে ভাল হবে, ঘুম ভালো হবে। অন্তত পক্ষে ৭ ঘন্টা ভালো ঘুমালে রোগ ব্যাধি আপনাকে আক্রান্ত করতে পারবেনা।
৪। জীবন কোন না কোন ভাবে চলে যাবে। খুব বেশি চিন্তা করে কোন লাভ হয়না বরং শারীরিক ক্ষতি হবে। তাই চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। পরিকল্পনা গুলিকে নিখুঁত করুন এবং চিন্তা মুক্ত থাকুন। যা সামনে আসবে তার মুখমুখি হব; এই ভাবকে ধারণ করতে পারলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন এই বিষয়ে আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারব।
৫। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। বাইরে খাওয়ার যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। নেশা ও আসক্তি আছে এমন বিষয় গুলিকে একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। ১২ মাসের দেশিয় ফল নিয়মিত খেতে হবে। যেমন আমলকী, হরিতকী, বহেরা, লটকন, আমড়া, চালতা, আম, লিচু, কাঁঠাল, কদবেল, আনারস, ডুমুর, বেল, তাল, খেজুর, বেতগুলা ইত্যাদি। এই দেশিয় ফলের মধ্যেই রোগ প্রতিরোধের শক্তি রয়েছে। এন্টিবায়োটিক না খেয়ে দেশিয় ফল খাবেন।
৬। রোগের প্রভাব অসহ্য না হলে বা সাধারণ হলে ভেষজ ঔষধ সেবন করবেন বেশি। প্রতিটা ড্রাগেরই পার্স পতিক্রিয়া রয়েছে কিন্তু ভেষজের পার্শপতিক্রিয়া নেই।
৮। রাত জেগে নেটে কাজ করা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। ভোর থেকে কাজ শুরু করলেই ভালো হবে। রাত ১২ টায় ঘুমিয়ে ভোর ৬ টায় উঠলে ভোরে ১ থেকে ২ ঘন্টা কাজ করা যায়।
ইতিমধ্যেই আমি অনেক নিয়ম পালন করা শুরু করেছি। যতটা সম্ভব চিন্তা মুক্ত থাকছি। অসম্ভব পরিস্থিতি হলেও সেটাকে স্বাভাবিক ভাবেই মোকাবেলা করছি, এর জন্যে অতিরিক্ত চিন্তিত হচ্ছিনা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর আমি ১ ঘণ্টা শারিরক ও ৩০ মিনিট যোগ ব্যায়ম করছি। ফল খাওয়ার প্রবণতা ও আয়ুর্বেদের ঔষধ সেবনের প্রবণতা আমার আগে থেকেই ছিল। সকালে এক কাপ ও বিকেলে এক কাপ চা খেতাম সেটাও ত্যাগ করেছি। ১ তারিখ থেকে ১২ টার পর আর কাজ করবো না। ভোরেই কাজ শুরু করব।
শ্রীঅশোক চক্রবর্তী
সনাতন সংগঠন-বাংলাদেশ।
কোন মন্তব্য নেই