কর্মীর দৃষ্টিতে সনাতন সংগঠন
শ্রীমান বাপ্পিকুরি-
সনাতন সংগঠন শুধুমাত্র গতানুগতিক ধর্ম প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আসুন একটু জানার চেষ্টা করি এই পরিবার এবং পরিবারের বিগত বছরগুলোর কিছু কার্যক্রম সম্পর্কে।
সনাতন পরিবারের এই গ্রুপে অনেক সন্মানিত সদস্য আছেন যারা সনাতনের সংগঠনে আদর্শ উদ্দেশ্যে সম্পর্কে অবগত নয়। হ্যাঁ আপনাদের জন্যেই বলছি- এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে সনাতন সম্প্রদায়ের #শিক্ষা, #অর্থনৈতিক, #সাংস্কৃতিক, #সামাজিক উন্নয়ন কে এগিয়ে নেওয়াই সনাতনের মূল লক্ষ্য, আদর্শ ও উদ্দেশ্য।
#শিক্ষা
যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। হ্যাঁ আমারা সেটি বিশ্বাস করি বলে সনাতন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্যে সনাতনের সূচনালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত এই সম্প্রদায়ের আর্থিক ও সুবিধাবঞ্চিত অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সনাতন সংগঠন।
★আপনারা জেনে খুশি হবেন গত বছর দুর্গা পূজার পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলায় একটি গ্রাম যেখানে প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ আর্থিক ভাবে খুবই অসচ্ছল এমন পরিবারের অধ্যায়নরত ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীর মাঝে স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, জ্যামিতি বক্স ইত্যাদি সহ পূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ার উদ্দেশ্য নতুন জামা নেওয়ার জন্যে তাদের প্রত্যেক জনকে নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
★গতবছরের সেই একই সময় সুনামগঞ্জ এর শাল্লা থানার যাত্রাপুর গ্রামে একটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির জন্য সনাতনী ছাত্র ছাত্রীদের হাতে ৩৫ খানা বইয়ের প্যাক এবং শিক্ষা উপকরন দেয়া হয়।
★প্রতিবছর চট্রগ্রামের চা বাগানে সনাতন সম্প্রদায় ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান।
#অর্থনৈতিক
★সনাতন সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ই অক্টোবর ২০১৮ সালের সেই একই ইভেন্টে একজনক সনাতনী দাদাকে মোটর চালিত ভ্যানগাড়ী এবং সেলাই কাজ জানা এমন এক সনাতনী দিদিকে একটা সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। পূর্ব তাদের একজন অন্যের গাড়ি ভাড়ায় চালাতেন এবং দিদি অন্যের দোকানের সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ করতেন।
★ চট্টগ্রামের চা বাগানের শ্রমিকদের মাঝে সেলাই মেশিন প্রদান, অগ্নী দগ্ধ পরিবার গুলিকে সহায়তা।
★চা বাগানের শ্রমীকদের উন্নত করতে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করা।
#সাংস্কৃতিক
আমাদের সাংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে সনাতন সংগঠন সবসময় সজাগ। সনাতন সম্প্রদায়ের ধূতি উৎসবকে এই বাংলায় ধরে রাখতে একমাত্র সনাতন সংগঠন কতৃক প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় আয়োজন করা হয় ধূতি উৎসব। এছাড়াও ভাই ফোঁটা এবং মন্দির ভিত্তিক বিবাহের প্রচলনে সনাতন সংগঠন জোরালো ভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। যার ফলাফল আশানুরূপ ভাবে দেখা যাচ্ছে এখন প্রায়।
#সমাজিক
সনাতন সংগঠন সমাজিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করেছে। বিগত কয়েক বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের বুলেট পয়েন্ট নিম্নে দেওয়া হয়েছে-
★"বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবে সনাতন" স্থান- সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
★" সাম্প্রদায়িক হামলায় নির্যাতিত সনাতন সম্প্রদায়ের পাশে আমরা সনাতন " স্থান- নাসির নগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
★"শিব রূপে জীব সেবায় সনাতন" স্থান- সুনামগঞ্জ, সিলেট।
★"শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ" স্থান- নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর জেলা।
★"পিতৃহীন দুই কন্যার বিবাহ সম্পন্নকরণে সনাতনে সামান্য সহযোগিতা " স্থান- লক্ষ্মীপুর।
★ চট্টগ্রামের মালোপাড়া ও অভয়নগরে প্রায় ২১ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ।
★সীতাকুণ্ডের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা।
এছাড়াও সনাতন সংগঠনের স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। যেমন বিভিন্ন জেলায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ সহ অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা হচ্ছে না এমন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। #সনাতন_আইন ইউনিটের মাধ্যমে দুস্থদের ধারাবাহিকভাবে আইনী সহায়তা। সব সংগঠনের সাথে ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টি করা সহ বিভিন্ন স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ।
প্রিয় সনাতনী,
এই সংগঠন আমাদের কাছে সনাতন নামক একটা বৃহৎ পরিবার যেখানে আমরা প্রত্যেকে এক একজন সদস্য। আমরা আশাবাদী যে আগামীতে এই পরিবারের সকল সদস্যের অংশগ্রহনে সর্বস্তরের সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে আরো বৃহত্তর পরিসরে দাঁড়াতে পারবে সুখে-দুঃখে সবসময় সনাতন সংগঠন।
পাশে থাকুন সনাতনের।🙂
....জয় সনাত....
বিঃদ্রঃ সনাতনের লক্ষ্য, আদর্শ এবং উদ্দেশ্যে নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা লিফলেট আকারে কমেন্ট বক্সে দেওয়া আছে।
সনাতন সংগঠন শুধুমাত্র গতানুগতিক ধর্ম প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আসুন একটু জানার চেষ্টা করি এই পরিবার এবং পরিবারের বিগত বছরগুলোর কিছু কার্যক্রম সম্পর্কে।
সনাতন পরিবারের এই গ্রুপে অনেক সন্মানিত সদস্য আছেন যারা সনাতনের সংগঠনে আদর্শ উদ্দেশ্যে সম্পর্কে অবগত নয়। হ্যাঁ আপনাদের জন্যেই বলছি- এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে সনাতন সম্প্রদায়ের #শিক্ষা, #অর্থনৈতিক, #সাংস্কৃতিক, #সামাজিক উন্নয়ন কে এগিয়ে নেওয়াই সনাতনের মূল লক্ষ্য, আদর্শ ও উদ্দেশ্য।
#শিক্ষা
যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। হ্যাঁ আমারা সেটি বিশ্বাস করি বলে সনাতন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্যে সনাতনের সূচনালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত এই সম্প্রদায়ের আর্থিক ও সুবিধাবঞ্চিত অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সনাতন সংগঠন।
★আপনারা জেনে খুশি হবেন গত বছর দুর্গা পূজার পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলায় একটি গ্রাম যেখানে প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ আর্থিক ভাবে খুবই অসচ্ছল এমন পরিবারের অধ্যায়নরত ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীর মাঝে স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, জ্যামিতি বক্স ইত্যাদি সহ পূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ার উদ্দেশ্য নতুন জামা নেওয়ার জন্যে তাদের প্রত্যেক জনকে নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
★গতবছরের সেই একই সময় সুনামগঞ্জ এর শাল্লা থানার যাত্রাপুর গ্রামে একটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির জন্য সনাতনী ছাত্র ছাত্রীদের হাতে ৩৫ খানা বইয়ের প্যাক এবং শিক্ষা উপকরন দেয়া হয়।
★প্রতিবছর চট্রগ্রামের চা বাগানে সনাতন সম্প্রদায় ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান।
#অর্থনৈতিক
★সনাতন সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ই অক্টোবর ২০১৮ সালের সেই একই ইভেন্টে একজনক সনাতনী দাদাকে মোটর চালিত ভ্যানগাড়ী এবং সেলাই কাজ জানা এমন এক সনাতনী দিদিকে একটা সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। পূর্ব তাদের একজন অন্যের গাড়ি ভাড়ায় চালাতেন এবং দিদি অন্যের দোকানের সেলাই মেশিন দিয়ে কাজ করতেন।
★ চট্টগ্রামের চা বাগানের শ্রমিকদের মাঝে সেলাই মেশিন প্রদান, অগ্নী দগ্ধ পরিবার গুলিকে সহায়তা।
★চা বাগানের শ্রমীকদের উন্নত করতে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করা।
#সাংস্কৃতিক
আমাদের সাংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে সনাতন সংগঠন সবসময় সজাগ। সনাতন সম্প্রদায়ের ধূতি উৎসবকে এই বাংলায় ধরে রাখতে একমাত্র সনাতন সংগঠন কতৃক প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় আয়োজন করা হয় ধূতি উৎসব। এছাড়াও ভাই ফোঁটা এবং মন্দির ভিত্তিক বিবাহের প্রচলনে সনাতন সংগঠন জোরালো ভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। যার ফলাফল আশানুরূপ ভাবে দেখা যাচ্ছে এখন প্রায়।
#সমাজিক
সনাতন সংগঠন সমাজিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করেছে। বিগত কয়েক বছরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের বুলেট পয়েন্ট নিম্নে দেওয়া হয়েছে-
★"বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবে সনাতন" স্থান- সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
★" সাম্প্রদায়িক হামলায় নির্যাতিত সনাতন সম্প্রদায়ের পাশে আমরা সনাতন " স্থান- নাসির নগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
★"শিব রূপে জীব সেবায় সনাতন" স্থান- সুনামগঞ্জ, সিলেট।
★"শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ" স্থান- নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর জেলা।
★"পিতৃহীন দুই কন্যার বিবাহ সম্পন্নকরণে সনাতনে সামান্য সহযোগিতা " স্থান- লক্ষ্মীপুর।
★ চট্টগ্রামের মালোপাড়া ও অভয়নগরে প্রায় ২১ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ।
★সীতাকুণ্ডের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা।
এছাড়াও সনাতন সংগঠনের স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। যেমন বিভিন্ন জেলায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ সহ অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা হচ্ছে না এমন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। #সনাতন_আইন ইউনিটের মাধ্যমে দুস্থদের ধারাবাহিকভাবে আইনী সহায়তা। সব সংগঠনের সাথে ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টি করা সহ বিভিন্ন স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ।
প্রিয় সনাতনী,
এই সংগঠন আমাদের কাছে সনাতন নামক একটা বৃহৎ পরিবার যেখানে আমরা প্রত্যেকে এক একজন সদস্য। আমরা আশাবাদী যে আগামীতে এই পরিবারের সকল সদস্যের অংশগ্রহনে সর্বস্তরের সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে আরো বৃহত্তর পরিসরে দাঁড়াতে পারবে সুখে-দুঃখে সবসময় সনাতন সংগঠন।
পাশে থাকুন সনাতনের।🙂
....জয় সনাত....
বিঃদ্রঃ সনাতনের লক্ষ্য, আদর্শ এবং উদ্দেশ্যে নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা লিফলেট আকারে কমেন্ট বক্সে দেওয়া আছে।
সনাতন কর্মকাণ্ড দেখে এবং শুনে আমার থেকে খুবই ভালো লাগলো সামনের দিকে এগিয়ে যাক শুভকামনা রইল
উত্তরমুছুনপ্রণাম ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মুছুন