ঋগ্বেদ সংহিতা(ভূমিকা-০১)
ওঁ
ঋগ্বেদ সংহিতা
ভূমিকা
প্রথম পরিচ্ছেদ।
পূর্বাভাষ
বেদ-বিষয়ে অনন্তকালের গবেষণা; বেদ কি -সে বিষয়ে মতভেদ, এবং বেদ কি-তার সার সিদ্ধান্ত; কাল ও রচনা-প্রসঙ্গে তর্ক-বিতর্ক; বিবাদ নিরসনে শাস্ত্র ও যুক্তি; বেদের সাথে মানব-জাতির ধর্মের ও শাস্ত্রের সম্বন্ধ-বেদের স্বরূপ ও বিভাগ।
বেদ বিষয়ে অনন্ত গবেষণা।
‘বেদ’ নিয়ে, যুগ-যুগান্ত ধরে, কত যে আলোচনা- কত যে গবেষণা চলেছে, তার ইয়ত্তা হয় না। মানব জাতির ইতিহাসে, শিক্ষার ও সভ্যতার অভ্যুদয়ের ও বিলয়ের সাথে সাথে, বেদ বিষয়ে কত মস্তিষ্ক কতভাবে আলোড়িত হয়েছে, তা নির্ণয় করা যায় না। এ জগতে বোধ হয় এমন কোন জনপদ নেই, এ পৃথিবীতে বোধ হয় এমন কোনও জাতির অভ্যুদয় ঘটেনি যাদের শিক্ষিত গর্বোন্নত সমাজ কোন-না কোনও আকারে বেদ-বিষয়ে আলোচনা করেনি। প্রাচ্যে ও প্রতীচ্যে, ভারতে ও ভারতের বহির্দ্দেশে, যেখানেই মানুষের সমাজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সমর্থ হয়েছে, সেখানেই স্বপক্ষেই হোক আর বিপক্ষেই হোক তাদেরকে বেদ-বিষয়ে আলোচনায় উদ্বুদ্ধ দেখতে পাই। সামনে যে অনন্ত শাস্ত্র-সমুদ্র বিদ্যমান, উহার বিশাল বুকে কি সাক্ষ্য উদ্ভাসিত রয়েছে? শাস্ত্র-রত্নাকর কে রত্নরাজি গর্ভে ধরণ করে আপন নামের সার্থকতা সম্পাদন করেছেন, তাই বা কি ঘোষণা করছে? সে কি বেদ নয়? ফলতঃ বেদ-বিষয়ে যিনি’ই যা আলোচনা করবেন, পুরাতনেরই পুনরাবৃত্তি ভিন্ন, অভিনবত্বের দাবী কারও পক্ষে সম্ভপর নয়। চলবে-
নিবেদনে- সনাতন সংবেদ (সনাতন সংগঠনের মুখপত্র)
কোন মন্তব্য নেই