sanatansangbed

Introduction of SANATAN dharma scriptures

সর্বাত্ম-প্রণাম

যস্মিন সৰ্ব্বং যতঃ সৰ্ব্বং যঃ সৰ্ব্বঃ সৰ্ব্বতশ্চ যঃ। 
যশ্চ সর্ব্বময়ো নিত্যং তস্মৈ সর্ব্বাত্মনে নমঃ॥ 
মহাভারতে ভীষ্মকৃত কৃষ্ণ স্তবরাজঃ। 
যতঃ সর্ব্বাণি ভূতানি প্ৰতিভান্তি স্থিতানি চ। 
ষত্ৰৈবোপশমং যান্তি তস্মৈ সত্যাত্মনে নমঃ॥ 
জ্ঞাতা জ্ঞানং তথা জ্ঞেয়ং দ্রষ্টাদর্শন দৃশ্যভুঃ। 
কৰ্ত্তা হেতুঃ ক্রিয়া যম্মাৎ তস্মৈ জ্ঞপ্ত্যাত্মিনে নমঃ॥ 
স্ফুরন্তি শীকরা যম্মাদানন্দ স্যাম্বরেহবনেী। 
সৰ্ব্বেষাং জীবনাং তস্মৈ ব্ৰহ্মানন্দাত্মনে নমঃ॥ 
দিবিভূমৌ তথাকাশে বহিরন্তশ্চ মে বিভুঃ। 
যো বিভাত্যবভাসাত্মা তস্মৈ সর্বাত্মনে নমঃ॥ যোগ. বা. 

যাঁহাতে এসব, যা হতে এসব, যিনি এসব, আর সামনে-পেছনে নিচে-উপরে বামে-দক্ষিণে সর্বদিকে যিনি; আর যিনি সর্বময়, যিনি নিত্য, সেই সর্বাত্মাকে নমস্কার। 
যা হতে সমুদায় ভূত আবির্ভূত হয়, বর্তমানে যাতে স্থিতি লাভ করে, প্ৰলয়ে যাতে উপশম প্ৰাপ্ত হয়-লয় হয়, সেই সত্যস্বরূপ আত্মাকে নমস্কার।
জ্ঞাতা, জ্ঞান, জ্ঞেয়, দ্রষ্টা, দর্শন, দৃশ্য, কর্ত্তা, হেতু, ক্রিয়া এই সকল ব্যবহারিক তত্ত্ব যার হতে জন্মেছে সেই জ্ঞানস্বরূপ আত্মাকে নমস্কার। 
যার হতে আনন্দকণা আকাশে, অবনিতলে স্ফুরিত হচ্ছে; যাঁর আনন্দ কণা সকলের জীবন, সেই ব্ৰহ্মানন্দস্বরূপ আত্মাকে নমস্কার। 
স্বৰ্গে পৃথিবীতে আবার অন্তরীক্ষে; আমার অন্তরে তোমার অন্তরে সকলের অন্তরে বাইরে যিনি প্ৰকাশ পাচ্ছেন, সেই সৰ্ব্বাবাভাসক সৰ্ব্বাত্মাকে নমস্কার। 
ব্ৰহ্মানন্দং পরমসুখদং কেবলং জ্ঞানমূৰ্ত্তিম 
দ্বন্দ্বাতীতং গগনসদৃশং তত্ত্বমস্যাদি লক্ষ্যম্। 
একং নিত্যং বিমলমচলং সর্ব্বধী সাক্ষিভুতম্। 
ভাবাতীতং ত্ৰিগুণরহিতং সদ্‌গুরুং তং নমামি॥
সদগুরুই আনন্দব্ৰহ্ম। আমি খণ্ডচৈতন্য-আমি জীব- আমি সেই অখণ্ড আনন্দ, অখণ্ড চৈতন্য, অখণ্ড সত্যকে নমস্কার করি। তুমি পরম সুখদাতা। তুমি কেবল। কেবল জ্ঞানানন্দ ভিন্ন তোমাতে আর কিছুই নাই। জ্ঞানমূৰ্ত্তি তুমি- সুষুপ্তির অজ্ঞানানন্দ তুমি নও-তুমি সজ্ঞানানন্দ। শীতোষ্ণ সুখদুঃখাদি দ্বন্দ্ব ভাব তোমাতে নাই। তুমি গগনসদৃশ সীমাশূন্য স্তিমিতগম্ভীর। শ্রুতি তত্ত্বমসি বাক্যে তোমাকেই লক্ষ্য করেন। তুমি এক-একমেবাদ্বিতীয়ম তুমি। স্বগত, স্বজাতীয়, বিজাতীয় ভেদবর্জ্জিত বলেই তুমি আপনি আপনি। নিত্যবস্তু তুমিই, আর সমস্তই অনিত্য। তুমি নিতান্ত নিৰ্ম্মল-অজ্ঞান মল তোমাতে নাই। সর্বপ্রকার চলনবর্জ্জিত তুমি। তুমি সৰ্ব্বদা অন্তরের বাইরের সকল কাজের, সকল চেষ্টার দ্রষ্টা-সকল বুদ্ধির সাক্ষী তুমি। তুমি শান্ত হতে মধুর আদি সকল ভাবের অতীত। তুমি সত্ত্বরজস্তম এই তিন গুণের অতীত। “ধাম্না স্বেন সদা নিরস্ত কুহকং সত্যংপরং ধীমহি” তুমি আপন মহিমার মায়ার সমস্ত কুহক নিরস্ত করে, আপনি আপনি ভাবে অবস্থিত। এই সৎগুরু তুমি। তোমাকে নমস্কার।

যং ব্ৰহ্মা বরুণেন্দ্ৰরুদ্রমরুত স্তুম্বন্তি দিব্যৈঃ স্তবৈ 
ৰ্ব্বেদৈঃ সাঙ্গপদক্রমোপনিষদৈ র্গায়ন্তি যং সামগাঃ। 
ধ্যানাবস্থিত তদগতেন মনসা পশ্যন্তি যং যোগিনো 
যস্যান্তং ন বিদুঃ সুরাহ সুরগণা দেবায় তস্মৈ নমঃ॥
ব্রহ্মা, বরুণ, ইন্দ্র, বায়ু অনুপম স্তব দ্বারা যাকে অপার গৌরবে গৌরবান্বিত বলেন, সাম গায়ক গণ অঙ্গ, পদক্রম ও উপনিষদের সঙ্গে বেদে যাকে গান করেন; যোগি’রা ধ্যানমগ্ন হয়ে তদগতচিত্তে যাকে দর্শন করেন; দেবতা ও অসুরগণ যার অন্ত জানেন না, সেই পরম দেবতাকে নমস্কার।
নিবেদন- সনাতন সংবেদ 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.