বৈদিক উপাসনা পদ্ধতি
আমরা অধিকাংশ হিন্দুই কোন উপাসনা করতে জানি না, পদ্ধতি গুলি না জানার কারনে করা যাচ্ছে না অথচ প্রকৃতপক্ষে আমাদের বেদ এ অত্যন্ত সুন্দর এবং বিজ্ঞানসম্মত উপাসনা প্রনালী আছে যা আমাদের প্রতিদিন করা অবশ্য কর্তব্য
আপনারা সকলে যাতে উপাসনা করতে পারেন সেজন্য উপাসনা পদ্ধতি তুলে ধরা হল-
কখন উপাসনা করবেন-
বৈদিক উপাসনার অপরনাম সান্ধ্য উপাসনা অর্থাত্ যা দিন এবং রাত্রির সন্ধিস্থলে করতে হয়। তাই প্রত্যুষে এবং সন্ধ্যার সময় উপাসনা করা বিধেয়।
ধাপসমুহঃ-
বৈদিক উপাসনা ৯টি ধাপে গঠিত। ধাপগুলো যথাক্রমে আচমন, ইন্দ্রিয় স্পর্শ, মার্জ্জন, প্রানায়াম, অঘমর্ষন, মনসা পরিক্রমা, উপস্থান, গায়ত্রী জপ এবং নমস্কার।
আচমনঃ
আচমন হল মুখ এবং মুখগহ্বর পরিশোধন পদ্ধতি। ডান হাতের তালুতে জল নিয়ে জিহ্বা, তালু এবং কন্ঠনালী ও ঠোঁট তিনবার পরিস্কার করতে হবে। প্রতিবার'ই নিম্নলিখিত মন্ত্র পাঠ করতে হবে।
ওঁ শন্নো দেবীরভিষ্টয় আপো ভবন্ত পীতয়ে। শংযোরভিস্রবন্ত নঃ।[ঋগবেদ ১০.৯.৪]
ওঁ(হে পরমাত্মা), দেবীঃ (দিব্যগুনদাতা), আপঃ (সর্বব্যপক), নঃ(আমাদের উপর), অভিষ্টয়ে(বাঞ্ছিত ফলের জন্য) ও পীতয়ে(আনন্দদানের জন্য), শম(কল্যানকারী), ভবন্ত(হউন), তিনি নঃ(আমাদের উপর), শংযো(শান্তি ও কল্যান), অভিস্রবন্ত(বর্ষন করুন)।
তবে আপনি যদি এমন কোন জায়গায় প্রার্থনার সময় থাকেন যেখানে আপনার পক্ষে হাতমুখ ধোয়া সম্ভব নয় সেখানে শুধু মন্ত্রপাঠ করলেও চলবে।
পরবর্তী দুইটি ধাপ ইন্দ্রিয় স্পর্শ এবং মার্জ্জন।
ইন্দ্রিয় স্পর্শঃ-
নিম্নলিখিত মন্ত্র ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করে যথাক্রমে মুখ, নাক, চক্ষু, কর্ণ, নাভি, কন্ঠ, মস্তক, বাহুদ্বয়, করতল এবং করপৃষ্ঠ স্পর্শ করবেন।
ওঁম বাক্ বাক্।
ওঁ প্রাণঃ প্রাণঃ।
ওঁ চক্ষুঃ চক্ষুঃ।
ওঁ শ্রোত্রং শ্রোত্রং।
ওঁ নাভিঃ।
ওঁ হৃদয়ম্।
ওঁম কন্ঠ।
ওঁ শিরঃ।
ওঁ বাহুভ্যং যশোবলম্।
ওঁ করতল করপৃষ্ঠে।।
অনুবাদ- হে পরমাত্মন,আমার বাকশক্তি ও রসনেন্দ্রিয় সবল হউক। আমার শ্বাস প্রশ্বাসের শক্তি ও ঘ্রানেন্দ্রিয় সবল হউক। আমার স্থুল চক্ষু ও জ্ঞানচক্ষু সবল হউক। আমার স্থুল শ্রবননেন্দ্রিয় ও বিবেকবাণী শুনিবার জ্ঞানশ্রুতি সবল হউক। আমার বাহুদয় বলশালী ও যশস্বী হউক। আমার করতল ও করপৃষ্ঠ ধর্মকার্য করুক।
মার্জনঃ
নিম্নলিখিত মন্ত্রে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করে একে একে মস্তক, চক্ষুদ্বয়, কন্ঠ, হৃদয়, নাভি, পাদদ্বয়, মস্তক ও সর্ব গাত্রে জল সিঞ্চন করবে।
ওঁ ভুঃ পুনাতু শিরসি।
ওঁ ভূবঃ পুনাতু নেত্রয়োঃ।
ওঁ স্বঃ পুনাতু কন্ঠে।
ওঁ মহঃ পুনাতু হৃদয়ে।
ওঁ জনঃ পুনাতু নাভ্যাম্।
ওঁ তপঃ পুনাতু পাদয়োঃ।
ওঁ সত্যং পুনাতু পুনঃ শিরসি।
ওঁ খং ব্রহ্ম পুনাতু সর্বত্র।
অনুবাদ- হে প্রানরুপ পরমাত্মা মস্তককে পবিত্র করুন। হে দুঃখনাশক পরমাত্মা, নেত্রযুগলকে পবিত্র করুন। হে আনন্দস্বরুপ পরমাত্মা, কন্ঠকে পবিত্র করুন। হে সর্বজন পুজ্য মহান পরমাত্মা, হৃদয়কে পবিত্র করুন। হে সর্ব্বোত্পাদক পরমাত্মা, নাভিকে পবিত্র করুন। হে তেজস্বী পরমাত্মা, পাদযুগলকে পবিত্র করুন। হে অবিনশ্বর পরমাত্মা, পুনরায় মস্তককে পবিত্র করুন। হে সর্বব্যপী পরমাত্মা, সর্বস্থান পবিত্র করুন।
চতুর্থ এবং পঞ্চম ধাপ প্রাণায়াম এবং অঘমর্ষণ:
প্রাণায়ামঃ
প্রাণায়াম হল শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রন এর পদ্ধতি। এর বেশ কয়েকটি ধরণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারন পদ্ধতিটি আলোচনা করা হল। প্রথমে বুক ভরে শ্বাস নিন যেন ফুসফুস যথাসম্ভব প্রসারিত হয়। এরপর কিছুটা জোড়ে এবং শ্বাসগ্রহন এর চেয়ে দ্রুত নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন। প্রতিবার শ্বাস গ্রহন এবং নিঃশ্বাস ত্যগের মাধ্যমে একবার প্রানায়াম হয়। প্রতি উপাসনায় নুন্যকল্পে তিনবার বা সর্বোচ্চ একুশবার প্রাণায়াম করবেন। প্রাণায়াম এর অভ্যাসে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, শিরা ও ধমনীর কার্য্য সুষ্ঠুরুপে পরিচালিত হয়। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করেছে যে বিভিন্ন প্রকার প্রাণায়াম এর ফলে হাঁপানীসহ বিভিন্ন Respiratory disease এর নিরাময় হয়। প্রাণায়াম এর পূর্বে নিম্নলিখিত মন্ত্র জপ করুন।
ওঁ ভূঃ।
ওঁ ভূবঃ।
ওঁ স্বঃ।
ওঁ মহঃ।
ওঁ জনঃ।
ওঁ তপঃ।
ওঁ সত্যম্।
অনুবাদ- পরমাত্মা প্রাণস্বরুপ। পরমাত্মা দুঃখনাশক। পরমাত্মা আনন্দস্বরুপ। পরমাত্মা সর্বপূজ্য। পরমাত্মা সর্ব্বোত্পাদক।পরমাত্মা তেজঃস্বরুপ।পরমাত্মা অবিনশ্বর।
অঘমর্ষন:
অঘ অর্থে কলুষতা,মর্ষন অর্থ দুর করা।সৃষ্টির মধ্যে নিয়ন্তা ও স্রষ্টার নিয়ম ও অপূর্ব কৌশল বর্তমান।ইহা সন্দর্শনে পরমাত্মার মহিমা,ঐশ্বর্য্য ও অস্তিত্ব মনে যতই উজ্জল হইতে থাকিবে,কলুষতা ততই দুর হইতে থাকিবে।মন্ত্রচিন্তার সঙ্গে পাপ-পরিহারের সংকল্পও গ্রহন করিবে।
ওঁ ঋতঞ্চ সত্যঞ্চাভীদ্ধাত্তপসোধ্যজায়ত।
ততো রাত্র্যজায়ত ততঃ সমুদ্রো অর্ণবঃ।।
ওঁ সমুদ্রাদর্ণবাদধি সংবত্সরো অজায়ত। অহোরাত্রাণি বিদধদ্বিশ্বস্য মিষতো বশী।।
ওঁ সূর্যচন্দ্রমসৌ ধাতা যথাপূর্বমকল্পয়ত্। দিবঞ্চ পৃথিবীঞ্চান্তরিক্ষমথো স্বঃ।।
(ঋগবেদ ১.১৯০.১-৩)
অনুবাদ- নিত্যজ্ঞানময় বেদ এবং প্রকৃতি ঈশ্বরের জ্ঞানময় সামর্থ হতেই জলপূর্ন আকাশ উত্পন্ন হয়েছে। জলপূর্ণ আকাশের পরে সন্ধিকাল উত্পন্ন হয়েছে। তারপর সকল চেতন জীবের শাসক পরমাত্মা দিন ও রাত্রি রচনা করেছেন।সর্বজগতের ধারনকর্তা পরমাত্মা সূর্য ও চন্দ্রকে, জ্যোতির্ময় ও জ্যোতিহীন লোককে এবং অন্তরিক্ষ লোক ও লোকলোকান্তর-এসব কিছুই পূর্বকল্পের ন্যয়ই অপরিবর্তিত থাকে।
পরবর্তী ধাপ মনসা পরিক্রমা:
সর্বব্যপী ঈশ্বরের পরিক্রমনকে মনন করে প্রার্থনা মন্ত্র পাঠ এবং ধ্যন পদ্ধতি ই হল মনসা পরিক্রমা।
নিম্নলিখিত ছয়টি মন্ত্রে যথাক্রমে পূর্ব, দক্ষিন, পশ্চিম, উত্তর, অধঃ ও উর্দ্ধ দিকে পরমাত্মার ব্যপকতা, শক্তি ও দয়া চিন্তা করে প্রার্থনা করতে হবে। এরই সঙ্গে সকল প্রানীর প্রতি আমাদের ন্যয়ানুমোদিত সদ্ব্যবহারের অনুশীলন করতে হবে।
১। ওঁ প্রাচী দিগগ্নিরধিপতিরসিতো রক্ষিতাদিত্যা ইষবঃ।
তেভ্যো নমোত্ ধিপতিভ্যো নমো রক্ষিতৃভ্যো নম ঈষুভ্যো নম এভো অস্ত।
যোস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মন্তং বো জম্ভে দধমঃ।।
২। ওঁ দক্ষিণা দিগিন্দ্রোত্ ধিপতিস্তিরশ্চিরাজী রক্ষিতা পিতর ইষবঃ।
তেভ্যো নমোধিপতিভ্যো নমো রক্ষিতৃভ্যো নম ইষুভ্যো নম এভ্যো অস্ত।
যোস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মন্তং বো জম্ভে দধ্ম।।
৩। ওঁ প্রতীচী দিগ্বরুনোধিপতিঃ পৃদাকুরক্ষিতান্নমিষবঃ।
তেভ্যো নমোধিপতিভ্যো নমঃ রক্ষিতৃভ্যো নম ইষুভো নম এভ্যো অস্ত।
যোস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মন্তং বো জম্ভে দধ্ম।।
৪। ওঁ উদীচী দিক সোমোধিপতিঃ স্বজোরক্ষিতাহ শনিরিষবঃ।
তেভ্যো নমোধিপতিভ্যো নমো রক্ষিতৃভ্যো নম ইষুভ্যো নম।
এভো অস্ত যোস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিস্মন্তং বো জম্ভে দধ্মঃ।।
৫। ওঁ ধ্রুবা দিগ্বিষ্ণুরধিপতিঃ কল্মাষগ্রীবো রক্ষিতা বীরুধ ঈষবঃ।
তেভ্যো নমোধিপতাভ্যো নমো রক্ষিতৃভো নম ইষুভ্যো নম এভো অস্ত।
যোস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিষ্মন্তং বো জম্ভে দধ্মঃ।।
৬। ওঁ উর্ধ্বা দিগ্ বৃহস্পতিরধিপতিঃ শ্বিত্রো রক্ষিতা বর্ষমিষবঃ।
তেভ্যো নমোধিপতিভ্যো নমো রক্ষিতৃভ্যো নম ইষুভ্যো নম এভ্যো অস্ত।
যোস্মান দ্বেষ্টি যং বয়ং দ্বিষ্মন্তং বো জম্ভে দধ্মঃ।
খেয়াল করে দেখবেন প্রতিটা মন্ত্রের শেষ দুই লাইন হুবহু একই। শুধু প্রথম লাইনটি ভিন্ন। তাই আশা করি আপনাদের জন্য মুখস্ত করা সহজ হবে।
আলোচ্য ধাপ উপস্থান:
উপ শব্দের অর্থ হল নিকটে এবং স্থান অর্থ হল অবস্থান। উপস্থান অর্থে এখানে ঈশ্বরের গুনচিন্তায় নিমগ্ন হয়ে তার নিকটবর্তী হওয়া। নিম্নলিখিত চারটি মন্ত্রে পরমাত্মার স্তুতি ও প্রার্থনা করে তাঁহার স্বরুপ ধ্যান করতে হবে।
১) ওঁ উদ্বয়ং তমসস্পরি স্বঃ পশান্ত উত্তরম্।
দেবং দেবত্রা সূর্যমগন্ম জ্যোতিরুত্তমম্।।
ঋগবেদ ১.৫০.১০
অনুবাদ- আমরা অন্ধকার রহিত আনন্দস্বরুপ প্রলয়ের পরেও বিরাজমান দিব্য গুনযুক্ত সর্বোত্তম জ্যোতিঃস্বরুপ চরাচর জগতের আত্মা পরমাত্মাদেবকে জ্ঞাননেত্রে লাভ করিব।
২) ওঁ উদুত্যং জাতবেদসং দেবং বহন্তি কেতবঃ।
দৃশ্যো বিশ্বায় সূর্য্যম্।।
ঋগবেদ ১.৫০.১
অনুবাদ- নিশ্চয় সৃষ্ট বস্তসকল পতাকার ন্যয় সেই বেদ প্রকাশক চরাচর জগতের আত্মা ঈশ্বর সকলের জন্য জ্ঞানচক্ষু উন্মোচন করুন।
৩) ওঁ চিত্রং দেবানামুদগাদনীকং চক্ষুর্মিত্রস্য বরুন স্যাগ্নেঃ।
আ প্রা দ্যাবাপৃথিবী অন্তরীক্ষং সূর্য্য আত্মা জগতস্তস্থুষশ্চ স্বাহা।।
ঋগবেদ ১.১১৫.১,যজুর্বেদ ৭.৪২
অনুবাদ- সেই প্রেরনাদাতা ঈশ্বর গমনশীল ও স্থাবর প্রানীদের আত্মাস্বরুপ।অন্তরীক্ষ,দ্যুলোক ও ভূলোককে তিনি ধারন ও রক্ষা করছেন।দ্রোহরহিত মনুষ্যোর,শ্রেষ্ঠকর্মা ব্যক্তির ও অগ্রগামী মানুষের তিনি জ্ঞানদাতা।তিনি বিদ্বানদের হৃদয়ে বলরুপে চিত্রিত।
৪)ওঁ তচ্চরক্ষুর্দেবহিতং পূরস্তাচ্ছুক্রমচ্চরত্।
পশ্যেম শরদঃ শতং জীবেম শরদ শতং শৃনুয়াম শরদঃ শতং প্র ব্রবাম শরদঃ শতমদীনাঃ স্যম শরদঃ শতং ভুয়শ্চ শরদঃ শতাত্।।
যজুর্বেদ ৩৬.২৪
অনুবাদ- সেই পরমাত্মা সর্বদ্রষ্টা,উপাসকদের হিতকারী ও পবিত্র।সৃষ্টির পূর্ব হতেই তিনি সর্বব্যপকরুপে বর্তমান আছেন।শতবর্ষকাল তাঁর কৃপায় আমরা যেন দেখতে পাই,শতবর্ষকাল যেন তাঁর কৃপায় আমরা জীবিত থাকি,শতবর্ষকাল তাঁর কৃপায় আমরা শ্রবন করিব,শতবর্ষকাল বলিব,শতবর্ষকাল যেন স্বাধীন থাকিব।
আলোচ্য ধাপ গায়ত্রী মন্ত্র জপ এবং নমস্কার
গায়ত্রী জপ:
যে কোন সনাতন ধর্মালম্বীর ই প্রতিদিন উপাসনায় গায়ত্রী পাঠ আবশ্যক।
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ।
তত্সবিতুর্বরেন্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি।
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াত্।।
ওঁ- পরমাত্মা, ভূঃ- প্রানস্বরুপ, ভূবঃ- দুঃখজনক, স্বঃ- সুখস্বরুপ, তত্- সেই, সবিতু- সমগ্র জগতের সৃষ্টিকর্তা, বরেন্যম- বরনযোগ্য সর্ব্বোত্তম, ভর্গো- পাপ নাশক, দেবস্য- সমগ্র ঐশ্বর্যদাতা, ধীমহি- ধারন করি, ধিয়ঃ- প্রজ্ঞাসমূহকে, যঃ- যিনি , নঃ- আমাদের, প্রচোদয়াত্- সত্য জ্ঞান প্রদান করেন।
অনুবাদ- পরমাত্মা, প্রানস্বরুপ, দুঃখনাশক ও সুখস্বরুপ।সেই জগতসৃষ্টিকারী ও ঐশ্বর্যপ্রদাতা পরমাত্মার বরনযোগ্য পাপ-বিনাশক তেজকে আমরা ধারন করি।তিনি আমাদের বুদ্ধিকে শুভ গুন,কর্ম ও স্বভাবের দিকে চালনা করেন।
ঋগবেদ ৩.৬২.১০,যজুর্বেদ ৩.৩৫,২২.৯,৩০.২,৩৬.৩, সামবেদ উত্তরার্চিক,প্রপাঠক ৩,অর্দ্ধপ্রপাঠক ৩,মন্ত্র ১০
নমস্কার প্রদান:
নিম্নলিখিত মন্ত্রে পরমাত্মাকে নমস্কার করিয়া আত্মসমর্পন করিবে।
ওঁ নমঃ শস্তবায় চ ময়োভবায় চ।
নমঃ শন্করায় চ ময়স্করায় চ।
নমঃ শিবায় চ শিবতরায় চ।।যজুর্বেদ ১৬.৪১
অনুবাদ- আনন্দস্বরুপ ও সুখদাতা পরমাত্মাকে নমস্কার।কল্যানকারী ও মঙ্গলময় পরমাত্মাকে নমস্কার।মঙ্গলস্বরুপ ও অশেষ কল্যানময় পরমাত্মাকে নমস্কার।
বৈদিক উপাসনা পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ননা এখানেই শেষ হল।
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি
কোন মন্তব্য নেই