সবল হতে হলে বিজ্ঞানে অর্থনীতিতে উন্নতি করতে হবে
সুখে, স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে থাকতে চাইলে বিজ্ঞানের চর্চায় উন্নত হতে হবে। বিজ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে উপযোগিতা সৃষ্টি করে বিপণনের মাধ্যমে অর্থনীতিকে হস্তগত করতে হবে। বিজ্ঞান চর্চার নাম পূজা; এমন ভাবকে অন্তরে ধারণ করে চর্চা করতে না পারলে হিন্দুরা সব সময়েই নিজ দেশে পরবাসী হয়ে থাকবে। আর বিজ্ঞানী জগদিস চন্দ্র বসুর আবিষ্কার নিয়ে ইউরোপ অ্যামেরিকা ধনী ও শক্তিশালী হবে।
অনেকেই বলে থাকেন আত্মিক শান্তিই ধর্ম পালনের প্রধান উদ্দেশ্য। যদি তাই হয়ে থাকে তবে সেই ধর্ম জীবন পরিচালনার জন্যে পর্যাপ্ত নয় বরং আংশিক উপকারি বলা যায়। ৪৬ সালের নোয়াখালী, কোলকাতার রায়ট, ৭১ সালের বাংলাদেশের যুদ্ধ, ৯২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ২০০১ সালের সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের সময় ভক্তি, আত্মিক উন্নতি, আত্ম সন্তুষ্টি, ঈশ্বরের প্রতি সমর্পণ কিছুই কাজ দেয়নি। সেই সময় সবলরা দুর্বলের উপর অত্যচার করেছে, দুর্বলা অত্যাচারিত হয়েছে।
ঈশ্বর দুর্বল সবল কাউকেই সহায়তা করেন না। সবল হওয়ার জন্যে তিনি প্রকৃতিতে প্রয়োজন অতিরিক্ত উপাত্ত তৈরি করে রেখেছেন। আহরণ করে যে ব্যবহার করতে পারে সে সবল হয়, যে পারেনা সে দুর্বল হয়।
আত্ম সন্তুষ্টি অর্জন করে দুর্বল থেকে অত্যাচারিত হবেন? নাকি অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সবল হবেন এবং এর সাথে সাথে আত্মউন্নয়নের চেষ্টা করবেন সেই সিদ্ধান্ত হিন্দুদের নিতে হবে। হিন্দুরা বিজ্ঞান চর্চা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেষ্টায় খুবই দুর্বল। সুতরাং হিন্দুরা শক্তিহীন এবং অত্যাচারিত।
লেখক-
শ্রীঅশোক চক্রবর্তী
সনাতন সংগঠন- বাংলাদেশ।
কোন মন্তব্য নেই