বিয়ে মানে আমি তুমি সুখের সংসার নয়

ও মেয়ে, ও ছেলে;
বিয়ে, পরিবার, সংসার জীবন কী আগে জেনে নাও। এর জন্যে নিজেকে তৈরি করে নাও। জেনে বুঝে না হয় ঝাপ দিও। না জেনে, না বুঝে, না চিনে আগুনে ঝাপ দিবে না। তুমি শুধু মরবে না। তোমার সাথে সাথে তোমাকে তুমি করতে যারা নিজেদের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, চাওয়া পাওয়াকে বিসর্জন দিয়েছেন তাঁরা অর্থাৎ তোমার পিতা মাতা, তোমার পরিবারকেও মরতে হবে। 

বিয়ে মানে অন্যের দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা, ভাল লাগা, মন্দ লাগাকে নিজের করে নেওয়া এবং নিজের গুলিকে তাঁর কাছে দায়বদ্ধতয়ার মধ্যে প্রদান করা।

বিয়ে মানে শুধু একজন পুরুষ নারীর মিলন নয়। বিয়ে মানে দুটা পরিবারের মধ্যে নতুন করে সমন্বয়।

বিয়ে মানে শুধু সুখে থাকা নয়। দুটা পরিবারের সংস্কৃতি, ভাবনা, বোধকে একসুতায় গাঁথা। অমিল থাকলে মিলিয়ে নেওয়া। আর যদি মিল থাকে তবে সেই মিলকে গ্রহণ করে পূর্বের তুলনায় উন্নত হওয়া।

বিয়ে মানে শুধু সুখ সজ্জার বাসর নয়। বিয়ে মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অগ্রসর করে দেওয়ার শুভ সূচনা।

বিয়ে মানে শুধু আদর আবদার মেটানো নয়। বিয়ে মানে অন্যের অযোগ্যতাকে সহ্য করে তাকে নিজ যোগ্যতা দিয়ে ভাল রাখার নিরন্তন চেষ্টা করা।

আজকালের ছেলে মেয়েরা হুট করে ফেইসবুকে, মেসেঞ্জারে, হোটসাপে চ্যাট করে প্রেমে পরে যায়। বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়ে নেয়। কেউ কাউকে দেখেনি পর্যন্ত এমন অবস্থাতে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্যে তৈরি থাকে !!

ছেলেরা না হয় যেমন তেমন। ছেলেদের তো কুল কলঙ্কের ভয় থাকেনা, তাদের সম্ভ্রম নষ্ট হয়না। এই সমাজ তাদের নষ্ট ভাবতেই চায়না।  কিন্তু মেয়েরা? এতো এতো রিক্স নিয়ে কী করে তাঁরা ভাবে যে অচেনা, অজানা কেউ তাকে সুখে রাখবে? পারিবারিক দায়বদ্ধতা থাকলে অনেক অমিলকে মিলে পরিনত করা যায় কিন্তু পরিবারের অমতে একক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তা খুব বেশি কার্যকর হয়না। 

মুলসিম ছেলে হিন্দু আইডি দিয়ে দিব্বি হিন্দু মেয়ের সাথে হিন্দু সেজে প্রেম করছে। শারীরিক সম্পর্ক হয়ে গেলে প্রকৃত রূপে ফিরছে। তখন ঐ মেয়েটার আত্মহনন অথব ধর্মান্তর করা ছাড়া উপায় থাকেনা। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে হিন্দু ছেলে সেজে হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রেম করছে এমন অনেক অনেক উদাহরণ আছে। অনেকেই সেই বিষে নিজেদের নীল করেছে এমন উদাহরণও কম নয়।

সুখে থাকতে চাও থাক, বাঁচতে চাও বাঁচ, মরতে চাও তো মর। কিন্তু জেনে বুঝে, যাচাই বাছাই করে যা করার তা কর। তোমাকে ছলনায় ফেলে তোমার দেহ ও মনকে কেউ ওর লোভ লালসা দিয়ে ভোগ করবে এটা তোমার জন্যে কতটুকু অপমানের, ঘৃণার, লজ্জার ও পরাজয়ের বিষয় তা একবার ভেবে দেখ।

ভুল করেও সেই ভুল করবে না যে ভুল করার পর তুমি নিজেকে নিজে ক্ষমা করতে পারবেনা। যদি তাই কর তবে বেঁচে থেকে প্রতিদিন মৃত্যু যন্ত্রনা ভোগ করবে। বিশ্বাস হচ্ছেনা? এই ফাঁদে যারা পা দিয়েছে তাঁদের ৯০ ভাগ অত্যাচারিত হয়ে ফিরে এসেছে। ওদের থেকে জেনে নিও। ওরা প্রতিদিন বেঁচে থেকে মৃত্যু যন্ত্রণাকে উপভোগ করতে বাধ্য হচ্ছে।