আচার্য শঙ্কর প্রণােদিত গীতার সম্বন্ধভাষ্য- পর্ব ০১
আচার্য শঙ্কর প্রণােদিত গীতার সম্বন্ধভাষ্য
পর্ব-০১
গীতা মহাভারতের খুব ছােট্ট একটি অংশ। সপ্তম শতাব্দীতে এসে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় চৌদ্দশ বছর আগে তখনই আচার্য শঙ্কর দেখলেন গীতার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে এত ভাবে গীতার ব্যাখ্যা হচ্ছিল যে সাধারণ মানুষের মধ্যে গীতার ব্যাপারে সংশয় তৈরী হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। একেই গীতা অত্যন্ত কঠিন শাস্ত্র, তার উপর আবার বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা হওয়াতে সাধারণ মানুষের কাছে গীতা আরও দুর্বোধ্য হয়ে পড়ে। গীতা যেহেতু সমন্বয় শাস্ত্র সেহেতু আগে সমস্ত শাস্ত্র অধ্যয়ন করে নেওয়ার পর গীতা অধ্যয়ন করতে হয়। প্রথমে বেদ পড়তে হবে, বেদের পর উপনিষদ পড়তে হবে। আধ্যাত্মিকতার ব্যাপারে বেদের যে বক্তব্য তার সার উপনিষদে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপনিষদের অনেক মন্ত্র কে উপনিষদের মূল বক্তব্যের সাথে আপাতদৃষ্টিতে মেলান যায় না, আবার অনেক জায়গায় অর্থ স্পষ্ট বােঝা যায় না। এগুলাে কে স্পষ্ট করার জন্য লেখা হল ব্রহ্মসূত্র। তাই উপনিষদের পর ব্রহ্মসূত্র পড়তে হয়। ব্রহ্মসূত্র অধ্যয়ন করার পর গীতা অধ্যয়ন করার যােগ্যতা আসে। এই সব কারণে গীতা কে এত কঠিন শাস্ত্র বলা হয়। একেই এত দুর্বোধ্যতার উপর যাঁরাই একটু আধ্যাত্মিকতা জ্ঞান অর্জন করে সাধু হয়েছেন তাঁরাই গীতার উপর টীকা ব্যাখ্যা দিতে শুরু করলেন। কিন্তু সবাই গীতার অর্থ আর অর্থের যে ব্যাখ্যা করেছেন তাতে কারাের বক্তব্যের মধ্যে কোন মিল পাওয়া যায় না। আচার্য শঙ্কর গীতার যে ব্যাখ্যা করেছেন সেখানে তিনি আগে তাঁর নিজস্ব একটা দর্শন ঠিক করে নিয়েছেন ঠিক করে নিয়ে তিনি এমন ভাবে ব্যাখ্যা করে গেছেন যে দেখাচ্ছেন গীতার ও এই বক্তব্য।
ক্রমশঃ
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন