শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ-অনুধ্যান

শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ  অনুধ্যান

(প্রথম ভাগ)

Talks delivered by Swami Samarpanananda on Bhagavat Puran before the students of Indian Spiritual Heritage Diploma Course at Ramakrishna Vivekananda University, Belur Math (Transcribed and Edited by Amit Ray Chaudhuri)

ভুমিকা

ভারতের অন্যতম সর্বজন সমাদৃত ধর্মগ্রন্থ, উচ্চাঙ্গ কাব্যিক রস ও অত্যন্ত উচ্চ আধ্যাত্মিক তত্ত্বে সমৃদ্ধ গ্রন্থের নাম শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ। গভীর উচ্চ আধ্যাত্মিক তত্ত্বে সমৃদ্ধ হওয়ার দরুন শ্রীমদ্ভাগবত একটি অত্যন্ত কঠিন শাস্ত্র। জনমানসে একটি প্রচলিত মত যে, বড় বড় পণ্ডিতরা তাঁদের পাণ্ডিত্য প্রদর্শনের জন্য শ্রীমদ্ভাগবতেকই বেছে নেন। ভাগবতে এসেই সব পণ্ডিতদের আসল পরীক্ষা হয়ে যায়। আমরা সেই ভাগবতের অনুধ্যানে এখন নিমগ্ন হতে যাচ্ছি। ভাগবত যেহেতু পুরাণ-ধর্মী শাস্ত্র সেই হেতু ভাগবত অনুধ্যানের সুবিধার্থে প্রথমে পুরাণ-ধর্মী শাস্ত্রের কিছু মূল ‘বৈশিষ্ঠ্যের সাথে সাথে হিন্দু ধর্মীয় পুরাণের প্রভাব এবং ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক  জীবনে পুরাণের উপেযোগিতা সম্বন্ধে একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা  করে নেওয়া  যেতে  পারে।

পুরাতন হয়েও যে জিনিষ চিরদিন নতুনের মত মনে হয় তাকেই পুরাণ বলা হয়। যখন কোন ঘটনাকে ভগবানের সঙ্গে বা দেবতার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কাহিনীর মাধ্যমে মানুষের মনের গভীরে আধ্যাত্মিক তত্ত্বের একটা রুপরেখা অঙ্কিত করে ভগবানের প্রতি ভক্তি ভাবকে জাগ্রত করে দেয় তখনই সেই কাহিনীকে বলা হয় পুরাণ বা mythology। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি আমাদের ১৮টি পুরাণ আছে, যেখানে নানান রকম মজার মজার পৌরাণিক কাহিনীর আড়ালে লুকিয়ে আছে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিকতার অমূল্য তত্ত্ব সমূহ। এই আঠারোটি পুরাণের যে কোন একটিকেই ধর্মের পূর্ণাঙ্গ রুপ বলা যেতে পারে, কারণ যে কোন ধম´কে দাঁড়াতে হলে যা যা ‘বৈশিষ্ট্যের দরকার প্রত্যেকটি পুরাণে তার সব কটিই কম-বেশী পাওয়া যাবে।

সৌজন্যে- সনাতন স্বস্তিক সভা

সংকলনে- সনাতন #কৃষ্ণকমল