sanatansangbed

Introduction of SANATAN dharma scriptures

নিত্য স্বাধ্যায়ঃ বেদমন্ত্র-০১

অথ সামবেদীয় শান্তিপাঠ
ওঁ আপ্যায়ন্তু মমাঙ্গানি, বাক্ প্রাণশ্চক্ষুঃ, শ্রোত্রমথ বলমিন্দ্রিয়াণি চ সর্বাণি।
সর্বং ব্রহ্মৌপনিষদম্।
মাহহং ব্রহ্ম নিরাকুর্যাং, মা মা ব্রহ্ম নিরাকরোৎ অনিরাকরণমস্তু, অনিরাকরণং মেহস্তু।
তদাত্মনি নিরতে য উপনিষৎসু ধর্মাস্তে ময়ি সন্তু, তে ময়ি সন্তু॥
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

অথ ঋগ্বেদীয় শান্তি পাঠঃ
ওঁ বাঙ্‌ মে মনসি প্রতিষ্ঠিতা, মনো মে বাচি প্রতিষ্ঠিতম্‌, আবিরাবীর্ম এধি। বেদস্য ম আণীস্থঃ, শ্রুতং মে মা প্রহাসীঃ, অনেন অধীতেন অহোরাত্রান সন্দধামি। ঋতং বদিষ্যামি, সত্যং বদিষ্যামি, তন্মামবতু, তদ্বক্তারমবতু, অবতু মাম্‌, অবতু বক্তারম্‌, অবতু বক্তারমঃ॥ 
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ। 

অথ কৃষ্ণ যজুর্ব্বেদীয় শান্তিপাঠঃ 
ওঁ সহ নৌ অবতু, সহনৌ ভূনক্তু সহ বীর্যং করবাবহৈ। 
তেজস্বি নৌ অবধিতমস্তু, মা বিদ্বিষাবহৈ॥
হে পরমাত্মন! তুমি আমাদের কে- শিষ্য ও আচার্য কে আসুরী সম্পদ হতে রক্ষা কর। হে পরমাত্মন! তুমি আমাদের কে- শিষ্য ও আচার্যকে আপনার অভেদানন্দ ভোগ করাও। হে পরমাত্মন! তুমি আমাকে নিদিধ্যাসন-ধ্যান সমাধির সামর্থ্য প্রদান কর। আমার অধীত ব্রহ্ম বিদ্যা, অবিদ্যা রূপ অপরা বিদ্যার দূরীকরণ পূর্বক উজ্জ্বল হোক। আমাদের মধ্যে- আচার্য ও শিষ্য মধ্যে যেন বিদ্বেষ না থাকে। ত্রিবিধ দুঃখের শান্তি হোক।

অথ শুক্ল যজুর্ব্বেদীয় শান্তিপাঠঃ
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ

অথর্ববেদীয় শান্তিপাঠঃ 
ওঁ ভদ্রং কর্ণেভিঃ শৃণুয়াম দেবা, ভদ্রং পশ্যেম অক্ষভিঃ য়জত্রা। স্থিরৈঃ অঙ্গৈঃ তুষ্টুবাংসঃ তনুভিঃ, ব্যশেম দেবহিতঃ য়দায়ুঃ। ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ, স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ। স্বস্তি নঃ তার্ক্ষ্যো অরিষ্টনেমিঃ, স্বস্তি নঃ বৃহস্পতিঃ দদাতু। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।।
ভাষ্যং- 
একং সাবধিপূৰ্ণং, তদাপেক্ষিকং, যথা নদীহ্রদাৎ তড়াগঃ পূর্ণঃ তড়াগাৎ সমুদ্রঃ। তথা ইদং মূৰ্ত্তং পূর্ণং, তদপেক্ষয়া অদঃ অমূৰ্ত্তং পূর্ণং, তস্মাদপি পুর্ণমুদঞ্চ্যতে উৎকৰ্ষং প্ৰাপ্নোতি। তৎ পূৰ্ণস্য পূর্ণং পূর্ণত্বং আদায় অঙ্গীকৃত্য সম্মেলনেন একীভাবং প্ৰাপ্য পূর্ণমেবাবিশিষ্যতে। তদেব পূর্ণাৎপূর্ণং, অতিশয়ং পূর্ণমিত্যর্থঃ। 
অমূর্ত্ত ব্রহ্ম (অদং) সর্বশক্তিমান বলেই পূর্ণ। এই মূৰ্ত্ত জগৎ (ইদং) ব্ৰহ্মেরই বিবৰ্ত্ত বলে পূর্ণ। মূৰ্ত্ত পূর্ণ হতে অমূৰ্ত্ত পূর্ণেরই উৎকর্ষ। কারণ জগৎটা সাবধি পূর্ণ (আপেক্ষিক পূর্ণ) ব্ৰহ্ম নিরবধি পূর্ণ। পূর্ণত্ব অঙ্গীকার পূর্বক মিলন দ্বারা একীভাব প্রাপ্ত হলে পূর্ণই অবশিষ্ট থাকেন। এই জন্য ব্রহ্ম, পূর্ণ হতেও পূর্ণ, অতিশয় পূর্ণ। তুমি ত্রিবিধ বিঘ্ন শান্তি করেই শান্তিময় হয়ে বিরাজিত হও।
মিত্র দেব (চন্দ্ৰ) আমাদের কল্যাণকর হোন, দেব বরুণ, অৰ্য্যমা, (সুৰ্য্য) ইন্দ্ৰ, বৃহস্পতি এবং সৰ্ব্বব্যাপী বিষ্ণু আমাদের কল্যাণকর হোন। ব্ৰহ্মকে প্ৰণাম, হে বায়ো! তোমাকে প্ৰণাম, তুমিই প্ৰত্যক্ষ ব্ৰহ্ম। তোমাকেই প্ৰত্যক্ষ ব্ৰহ্ম বলব আমি (মনে মনে) ঋত (মানস সত্য) বলব, আমি বাক্যে সত্য বলব। তা (ঋত ও সত্য) আমাকে রক্ষা করুন, তা বক্তাকে রক্ষা করুন, আমাকে রক্ষা করুন, বক্তাকে রক্ষা করুন। বেদাধ্যয়নের ত্ৰিবিধ বিঘ্ন শান্তি হউক। 
হে দেবগণ! যজ্ঞেব্ৰতী হয়ে আমরা যেন কৰ্ণে ভদ্রশব্দ (শুভশব্দ) শ্ৰবণ করি। যজ্ঞে ব্ৰতী হয়ে আমরা যেন চোখে ভদ্ররূপ (শুভরূপ) দৰ্শন করি। নিশ্চল দেহ রেখে যেন আমরা তোমাদের স্তব করি, করে দেববাঞ্ছিত আয়ু প্ৰাপ্ত হই। যিনি বৃদ্ধ (ব্যাপক), শ্রুতিসম্পন্ন ইন্দ্ৰ, যিনি সৰ্ব্বজন স্তবনীয় তিনি আমাদের সম্বন্ধে মঙ্গলময় হোন। সৰ্ব্বজ্ঞ পূষা (সূৰ্য্য) আমাদের সম্বন্ধে মঙ্গলময় হোন। মঙ্গলময় তার্ক্ষ্য-অপ্ৰতিহত অস্ত্ৰ গরুড়, আমাদের সম্বন্ধে মঙ্গলময় হোন। বৃহস্পতি আমাদের সম্বন্ধে মঙ্গলময় হোন। ত্ৰিবিধ বিঘ্ন শান্তি হউক। 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.