অনুভব দিয়ে ধর্ম হয়, লোভ দিয়ে নয়
উচ্চ শিক্ষিত একজন ব্যক্তির সাথে ধর্ম বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের ধর্ম কয়েকটা অভ্যাসের ভুল ভ্রান্তি সম্পর্কে তাঁকে জানালাম। প্রকৃত অভ্যাস কী হওয়া উচিত এবং কেন ঐ আচরণ গুলিকে অভ্যাসে আনা উচিত সেটাকেও বুঝিয়ে দিয়েছি। উনি সব কিছুই মানলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত বললেন আমি ওতো উচ্চ স্তরে নেই ভাই, আমার দ্বারা উচ্চ স্তরের ভাবকে ধারণ করা সম্ভব হবেনা। এর থেকে যেমন আছে তেমন থাক। আমি এই ভাবেই ধর্ম পালন করাটাকে শুদ্ধ মনে করছি। অর্থাৎ তিনি দ্বিধা মুক্ত হতে পারেননি। সত্যকে জেনেছেন, সেটা প্রকৃত সত্য সেটাও স্বীকার করেছেন কিন্তু পরম্পরার অভ্যাস থেকে বের হলে যদি পাপ হয় সেই ভয়ে তিনি সত্যকে অভ্যাসের মধ্যে নিতে পারছেন না। অর্থাৎ ভয়ই হলো প্রধান বাধা বা অন্তরায়।
পাপ বা নরকের ভয় থেকে এবং পুণ্য বা স্বর্গের লোভ মুক্ত হতে না পারলে সত্য, সুন্দর ধর্মের চর্চার অভ্যাসকে আত্মস্থ করা সম্ভব হবেনা। কর্মের ফলাফল ভোগ করতেই হবে সুতরাং নিজের স্বার্থেই হিত কর্ম করতেই হবে। আপনি সাময়িক লাভের জন্যে অন্যায় করলেন আর ভাবলেন আপনি লাভবান হয়েছেন ! আপনাকে দেখে অন্যজন অনুপ্রাণিত হবে এবং আপনার সাথেই সে একই অন্যায় করবে ! এটাই ধর্ম ও প্রকৃতির নিয়ম।
উদাহরণ স্বরূপ বলছিঃ ফল বিক্রতা ফলে বিষ যুক্ত করছে আর ভাবছে আমি লাভবান হলাম। সে মাছ কিনতে যাছে এবং বিষ যুক্ত মাছ নিয়ে আসছে, মাছ বিক্রিতা ভাবছে সে লাভবান হচ্ছে। আবার সেই মাছ বিক্রেতা বিষাক্ত দুধ ক্রয় করছে। আবার সেই দুধ বিক্রেতা বিষাক্ত ফল ক্রয় করছে। তাহলে চক্রাকার ভাবে চিন্তা করলে সবাই নীতি বিবর্জিত কাজ করে নিজেকেই প্রতারিত করছে।
মানুষ যেহেতু স্বয়ং সম্পূর্ণ নয় সেহেতু মানুষকে সব সময় অন্যের উপর নির্ভর করতেই হবে। এই কারণেই মানুষকে নিজের স্বার্থেই নীতি যুক্ত হতে হবে।
অশোক চক্রবর্তী
সনাতন সংগঠন
বাংলাদেশ।
পাপ বা নরকের ভয় থেকে এবং পুণ্য বা স্বর্গের লোভ মুক্ত হতে না পারলে সত্য, সুন্দর ধর্মের চর্চার অভ্যাসকে আত্মস্থ করা সম্ভব হবেনা। কর্মের ফলাফল ভোগ করতেই হবে সুতরাং নিজের স্বার্থেই হিত কর্ম করতেই হবে। আপনি সাময়িক লাভের জন্যে অন্যায় করলেন আর ভাবলেন আপনি লাভবান হয়েছেন ! আপনাকে দেখে অন্যজন অনুপ্রাণিত হবে এবং আপনার সাথেই সে একই অন্যায় করবে ! এটাই ধর্ম ও প্রকৃতির নিয়ম।
উদাহরণ স্বরূপ বলছিঃ ফল বিক্রতা ফলে বিষ যুক্ত করছে আর ভাবছে আমি লাভবান হলাম। সে মাছ কিনতে যাছে এবং বিষ যুক্ত মাছ নিয়ে আসছে, মাছ বিক্রিতা ভাবছে সে লাভবান হচ্ছে। আবার সেই মাছ বিক্রেতা বিষাক্ত দুধ ক্রয় করছে। আবার সেই দুধ বিক্রেতা বিষাক্ত ফল ক্রয় করছে। তাহলে চক্রাকার ভাবে চিন্তা করলে সবাই নীতি বিবর্জিত কাজ করে নিজেকেই প্রতারিত করছে।
মানুষ যেহেতু স্বয়ং সম্পূর্ণ নয় সেহেতু মানুষকে সব সময় অন্যের উপর নির্ভর করতেই হবে। এই কারণেই মানুষকে নিজের স্বার্থেই নীতি যুক্ত হতে হবে।
অশোক চক্রবর্তী
সনাতন সংগঠন
বাংলাদেশ।
কোন মন্তব্য নেই