শ্রীরাম
বালকাণ্ডের অর্থাৎ রামায়ণের শুরুর একটা বর্ণনা আজ তুলে ধরেছি ----
মহর্ষি নারদ মুনিকে বাল্মীকি মুনি জিজ্ঞেস করছেন; সম্প্রতি পৃথিবীতে কে আছেন যিনি গুণবান, বীর্যবান, ধর্মজ্ঞ, কৃতজ্ঞ, সত্যবাদী ও দৃঢ়ব্রত, সচ্চরিত্র, সর্বভুতের হিতকারী, বিদ্বান, কর্তব্যপালনে সমর্থ এবং অদ্বিতীয়, প্রিয়দর্শন, যিনি আত্মসংযমী, কান্তিমান, জিতক্রোধ ও আসুয়াশূন্য? যাকে রণস্থলে রুষ্ট দেখলে দেবতারাও ভয় পান?
মহর্ষি নারদ বললেন; তুমি যে বহুগুণের কথা বললে একাধারে তার মিলন দুর্লভ। ইক্ষাকুবংশজাত রাম নামে বিখ্যাত জিতেন্দ্রিয়, বুদ্ধিমান, রাজনীতিজ্ঞ, বাগ্মী ও শত্রুনাশক, সুঠাম দেহের অধিকারী, ধর্মজ্ঞ, সত্যসন্ধ, প্রজাগণের হিতেরত, যশষ্মী, জ্ঞানী, শুদ্ধাচার, বিনীতস্বভাব এবং স্থিরচিত্ত রাজা আছে। তিনি সর্বগুণান্বিত, কৌশল্যার আনন্দবর্ধন, গাম্ভীর্যে স্মুদ্রতুল্য, ধৈর্যে হিমালয়তুল্য।
মহর্ষি আরো বল্লেনঃ রাম রাজ্যে লোকে আনন্দিত, সন্তুষ্ট, পুষ্ট, ধর্মপরায়ণ, নিরাময়, নীরোগ এবং দুরভিক্ষ ভয়শূন্য থাকে। কোনও পুরুষ কখনও পুত্রের মরণ দেখবে না, নারীগণ নিত্য অবিধবা থাকবে এবং পতিব্রতা হবে।
উপরোক্ত বর্ণনা থেকেই অনুধাবন করা যায় যে, শ্রীরামের আদর্শ অনুকরণ হেতু তার প্রচার কতবেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান অস্থির সময়ে রামরাজ্যের গুরুত্ব কত বেশি প্রয়োজন। কতবেশি গুরুত্বপূর্ণ হলে ৭ থেকে ১৫ হাজার বছর পর্যন্ত তার জীবনী সব সময়েই সব থেকে বেশি আলোচিত, সমালোচিত, তর্ক-বিতর্কের বিষয় হতে পারে?
এমন আদর্শবান, অদ্বিতীয় ও জিতেন্দ্রিয়ের নিকট সহজেই আত্মসমর্পণ করা যায়। আত্মসমর্পণ পূর্বক তাঁকে যথা সম্ভব অনুকরণও করতে হবে। একক ভাবে রাম হতে না পারলেও সম্মিলিত ভাবে তার গুণের কিছু অংশের সমকক্ষতা অর্জন করতে হবে।
শ্রী অশোক চক্রবর্তী
সনাতন সংগঠন
বাংলাদেশ।
মহর্ষি নারদ মুনিকে বাল্মীকি মুনি জিজ্ঞেস করছেন; সম্প্রতি পৃথিবীতে কে আছেন যিনি গুণবান, বীর্যবান, ধর্মজ্ঞ, কৃতজ্ঞ, সত্যবাদী ও দৃঢ়ব্রত, সচ্চরিত্র, সর্বভুতের হিতকারী, বিদ্বান, কর্তব্যপালনে সমর্থ এবং অদ্বিতীয়, প্রিয়দর্শন, যিনি আত্মসংযমী, কান্তিমান, জিতক্রোধ ও আসুয়াশূন্য? যাকে রণস্থলে রুষ্ট দেখলে দেবতারাও ভয় পান?
মহর্ষি নারদ বললেন; তুমি যে বহুগুণের কথা বললে একাধারে তার মিলন দুর্লভ। ইক্ষাকুবংশজাত রাম নামে বিখ্যাত জিতেন্দ্রিয়, বুদ্ধিমান, রাজনীতিজ্ঞ, বাগ্মী ও শত্রুনাশক, সুঠাম দেহের অধিকারী, ধর্মজ্ঞ, সত্যসন্ধ, প্রজাগণের হিতেরত, যশষ্মী, জ্ঞানী, শুদ্ধাচার, বিনীতস্বভাব এবং স্থিরচিত্ত রাজা আছে। তিনি সর্বগুণান্বিত, কৌশল্যার আনন্দবর্ধন, গাম্ভীর্যে স্মুদ্রতুল্য, ধৈর্যে হিমালয়তুল্য।
মহর্ষি আরো বল্লেনঃ রাম রাজ্যে লোকে আনন্দিত, সন্তুষ্ট, পুষ্ট, ধর্মপরায়ণ, নিরাময়, নীরোগ এবং দুরভিক্ষ ভয়শূন্য থাকে। কোনও পুরুষ কখনও পুত্রের মরণ দেখবে না, নারীগণ নিত্য অবিধবা থাকবে এবং পতিব্রতা হবে।
উপরোক্ত বর্ণনা থেকেই অনুধাবন করা যায় যে, শ্রীরামের আদর্শ অনুকরণ হেতু তার প্রচার কতবেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান অস্থির সময়ে রামরাজ্যের গুরুত্ব কত বেশি প্রয়োজন। কতবেশি গুরুত্বপূর্ণ হলে ৭ থেকে ১৫ হাজার বছর পর্যন্ত তার জীবনী সব সময়েই সব থেকে বেশি আলোচিত, সমালোচিত, তর্ক-বিতর্কের বিষয় হতে পারে?
এমন আদর্শবান, অদ্বিতীয় ও জিতেন্দ্রিয়ের নিকট সহজেই আত্মসমর্পণ করা যায়। আত্মসমর্পণ পূর্বক তাঁকে যথা সম্ভব অনুকরণও করতে হবে। একক ভাবে রাম হতে না পারলেও সম্মিলিত ভাবে তার গুণের কিছু অংশের সমকক্ষতা অর্জন করতে হবে।
শ্রী অশোক চক্রবর্তী
সনাতন সংগঠন
বাংলাদেশ।
কোন মন্তব্য নেই