sanatansangbed

Introduction of SANATAN dharma scriptures

বাংলাদেশের হিন্দুরা কিছুটা হলেও লড়তে শিখেছে


এই নারী যখন এতোটা সাহসী হতে পেরেছেন তখন অন্যরা তাঁকে দেখে অবশ্যই অনুপ্রাণিত হবেন। সহ্য করলে লাভ হয়না বরং অনেক বেশি ক্ষতি হয়। রুখে দাঁড়ালে অনেকেই ভয়ে পালিয়ে যায়। দীপক বসাক ও টুম্পা বসাক বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্যে অনুপ্রেরণার প্রতিক হয়ে থাকবেন। দেবী; টুম্পাবসাকের মধ্যে স্বয়ং জাগ্রত হয়েছেন।

নিলয় চক্রবর্তী হতে সংগ্রহীত -----------
ছবির ব্যক্তির নাম আব্দুল খালেক। সম্প্রতি সে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বসাকপাড়ায় দীপক বসাকের পরিবারের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে এবং তাঁর স্ত্রী টুম্পাকে জোড় করে তুলে আনতে গেলে পাল্টা পিটুনি খেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। এই আব্দুল খালেক সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। গতকাল ১১টার দিকে সাটুরিয়া বসাক পাড়ার দীপক বসাকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায়, সকালের খাবার শেষে দীপক বসাক এবং তাঁর স্ত্রী বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে আব্দুল খালেক এবং আরও কয়েকজন দুস্কৃতিকারী তার ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করতে চায়। এমনকি দীপক বসাকের স্ত্রী টুম্পাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। ঘটনার প্রতিবাদ করলে আবদুল খালেক দীপক বসাক এবং তার স্ত্রীসহ অন্যদের মারধর করে। হামলার কথা শুনে এগিয়ে আসলে তারা দীপক বাবুর শ্বশুর ও শ্যালককেও মারধর করে। একপর্যায়ে বাড়ির সবাই একজোট হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এতে খালেক এবং আরো একজন আহত হন। দীপক বসাকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী টুম্পা বসাক একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন। প্রায় দুই বছর ধরে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ওই যুবলীগ নেতা তাকে উক্ত্যক্ত করে। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জানানো হলেও কোন লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়, আব্দুল খালেক তার কেনা ৭ শতাংশ জমির দখল করতে চাচ্ছে। ৬/৭ মাস আগে সে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিলেন। তখন তিনি স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। সাহস করে পালটা প্রতিরোধ করার জন্য দীপক বসাক এবং তাঁর পরিবারকে জানাই সংগ্রামী স্যালুট। নির্যাতনকারীদের এভাবেই রুখে দিক নির্যাতিতরা।।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.