সীতাকুণ্ড সমাচার ; পর্ব- ১
বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্যে সীতাকুণ্ড তীর্থস্থান পবিত্রতম স্থান। একান্ন শক্তিপিঠের গুরুত্বপূর্ণ পিঠ এটা। সতীর দক্ষিণহস্ত পড়েছিল সীতাকুণ্ডের ভবানী মন্দির যেখানে প্রতিষ্ঠিত সেখানে। সতীর দেহের এটাই শেষ অংশ ছিল। এরপর মহাদেব সেখানেই ধ্যানস্থ হন বলে উল্লেখ আছে। যেখানে দেবীপীঠ প্রতিস্থিত সেখানেই মহাদেব বিরাজিত থাকেন সুতরাং এই দেবীপীঠেই রয়েছে চন্দ্রনাথ, বিরূপাক্ষ, স্বয়ম্ভূনাথ , ভৈরব মন্দির সহ আরো অনেক মন্দির।
একটা সময় পথ ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, মানুষ লতা পাতা ধরে ধরে এই দুর্গম পথ অতিক্রম করে চন্দ্রনাথ দর্শন করতেন। ব্রিটিশ শাসন আমলে ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দ মাণিক্য এই পূণ্য তীর্থকে পরিচালনার জন্যে ৫ হাজার একরের বেশি যায়গাকে দেবত্ব সম্পতি হিসাবে দান করেন। সীতাকুণ্ড, আদিনাথ, কাঞ্চন নাথ মন্দির মিলে আনুমানিক ৭ হাজার একর যায়গা রয়েছে। এই তিন ধামকে পরিচালনা করছে সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটি।
সীতাকুণ্ডের ঝর্ণার পাশ দিয়ে যে সিঁড়ি আছে, যেটাকে নামার পথ হিসাবে ব্যবহার করা হয়, সেই সিঁড়ি ত্রিপুরার রাজা গৌবিন্দ মাণিক্যের আমলেই করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হল। ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে ত্রীপুরা রাজার করে দেওয়া কাজের বাইরে আর কী কাজ হয়েছে সেখানে? পথ ঘাটের তো কোন উন্নয়নই হয়নি বরং পথের আশ পাশের যায়গা বেদখল করে সেখানে বহুতল ভবন করে ফেলেছে। রাজার দান করা সম্পদ বেহাত হয়েছে।
পরবর্তী পর্বে ২০১৭ সাল থেকে দীর্ঘদিনের অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করার যে প্রয়াস সেই সম্পর্কে জানানো হবে।
~ চলবে ~
একটা সময় পথ ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, মানুষ লতা পাতা ধরে ধরে এই দুর্গম পথ অতিক্রম করে চন্দ্রনাথ দর্শন করতেন। ব্রিটিশ শাসন আমলে ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দ মাণিক্য এই পূণ্য তীর্থকে পরিচালনার জন্যে ৫ হাজার একরের বেশি যায়গাকে দেবত্ব সম্পতি হিসাবে দান করেন। সীতাকুণ্ড, আদিনাথ, কাঞ্চন নাথ মন্দির মিলে আনুমানিক ৭ হাজার একর যায়গা রয়েছে। এই তিন ধামকে পরিচালনা করছে সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটি।
সীতাকুণ্ডের ঝর্ণার পাশ দিয়ে যে সিঁড়ি আছে, যেটাকে নামার পথ হিসাবে ব্যবহার করা হয়, সেই সিঁড়ি ত্রিপুরার রাজা গৌবিন্দ মাণিক্যের আমলেই করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হল। ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে ত্রীপুরা রাজার করে দেওয়া কাজের বাইরে আর কী কাজ হয়েছে সেখানে? পথ ঘাটের তো কোন উন্নয়নই হয়নি বরং পথের আশ পাশের যায়গা বেদখল করে সেখানে বহুতল ভবন করে ফেলেছে। রাজার দান করা সম্পদ বেহাত হয়েছে।
পরবর্তী পর্বে ২০১৭ সাল থেকে দীর্ঘদিনের অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করার যে প্রয়াস সেই সম্পর্কে জানানো হবে।
~ চলবে ~
কোন মন্তব্য নেই