কৃতকে অনুধাবন না করলে প্রচলিত হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করে দিবে
ঈশ্বর প্রকৃতিতে যে নিয়ম তৈরি করে দিয়েছেন সেই নিয়মের মধ্যে থেকে যে যে সুবিধা আপনি আদায় করে নিতে পারবেন ঈশ্বরের কৃপা আপনার উপর ততটুকুই প্রদত্ত হবে। আপনার আহব্বান, আপনার ভজন, পূজনের মাধ্যমে আপনি এক বিন্দু বেশি সুবিধা পাবেন না। নিয়ম মত ঘুমান, নিয়ম মত খাওয়া দাওয়া করুন, শরির চর্চা করুন, আনন্দে থাকুন আপনার জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পাবে। আর এর বিপরীতে থেকে আপনি ঈশ্বর বন্ধনা করতে থাকুন আপনি অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবেন।
বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্য সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে সেই জ্ঞানকে উপযোগতায় রূপান্তরিত করতে চেষ্টা করতে হবে। বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই সৃষ্টির অজানা তথ্য সম্পর্কে জানা যাবে।
হাঁ; আধ্যাত্মবাদ মানুষকে চুরান্ত শান্তি প্রদান করতে পারে। কিন্তু মানুষ কী সেই জন্যে তৈরি আছে? মানুষ কী সেই সুখ প্রাপ্তির জন্যে যে চেষ্টা করতে হয় তা করতে আগ্রহী? বেশিরভাগ মানুষ সেই চূড়ান্ত সুখ প্রাপ্তির বিষয়কে বিশ্বাস করে কিন্তু চর্চা করতে চায়না।
সুতরাং দ্রব্য ভোগের নিমিত্তে বিজ্ঞান চর্চা করতেই হবে আর আধ্যাত্মবাদের জন্যে ভক্তি ভাবের চর্চা করতেই হবে। কিন্তু সমস্যা হলো এখানেই। হিন্দুরা দ্রব্য ভোগের নিমিত্তে ভক্তির উপর ভরসা রাখে কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা থেকে দূরে থাকে। আর আধ্যাত্মবাদের বিষয়টাকে বিশ্বাস করে কিন্তু চর্চা করেনা।
এই কারণে প্রচলিত ধারার ধর্ম চর্চা - দ্রব্য প্রাপ্তির বিষয়ে এবং আধ্যাত্মবাদের সুফল প্রাপ্তির বিষয়ে নুন্যতম উপযোগিতা প্রদান করতে পারছেনা। ধর্ম ঠিকই আছে কিন্তু ভ্রান্ত ধরনার কারণে ধর্মকে দুর্বল বলে মনে হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই