সনাতন সংগঠন প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সূচনা করে-অশোক চক্রবর্তী
অশোক চক্রবর্তী -
২০০৩ সালের পরিকল্পনাকে ২০১৫ সালে বাস্তবায়ণ করা হয়েছিলো। মঞ্চ হবে দেখার মত কিন্তু মঞ্চে আলাদা করে কাউকেই আসন দেওয়া হবেনা। আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রাজার রাজত্বে, নইলে মোরা রাজার সাথে মিলবো কি স্বত্বে ----- আমরা সবাই রাজা। সব রাজারাই এক কাতারে শ্রোতা হিসাবে উপবিষ্ট থাকেন, তাঁদের থেকে নির্বাচিতরাই তাঁদের অভিজ্ঞতালব্দ জ্ঞান প্রদান করেন স্টেজে উঠে।
হাঁ সনাতন সংগঠনের মঞ্চে কোন চেয়ার থাকেনা। আলাদা করে কাউকেই সেখানে বসানো হয়না বলে অনেকেই সনাতন সংগঠনের অনুষ্ঠানে আস্তে চান না :) কি আর করা? সবাইকে সন্তুষ্ট করে তো আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবেনা। তাই আমরা আমাদের ধারাই পরিচালিত হবো। সনাতন সংগঠনের মঞ্চ সব সময় খালি থাকবে। অনেক কঠিন। প্রচলিত ধারা থেকে বেরহয়ে আসাটা মোটেও সহজ নয় কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে পরিবর্তন আনতেই হবে; তাই আমরা এই কঠিন কাজকে এগিয়ে নিতে প্রতিগাবদ্ধ।
আজ থেকে ৫ বছর পর দেখবেন যারা সংগঠনের এই ধরণের সাহসী পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন তাঁরাই এই পদ্ধতির স্বপ্নদ্রষ্টা হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিবেন।
কাজ যদি হয় সনাতন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্যে তবে সেখানে পদ পদবীর প্রয়োজন হয়না, মঞ্চে চেয়ারেরও প্রয়োজন হয়না। কোথায়? ডাঃ জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, এডঃ চন্দন দাশ, শ্যামল দত্ত, বাপ্পাদিত্যবসু, মিলন শর্মা, কমিশনার নীলু নাগের তো মঞ্চে চেয়ার দরকার হয়নি। উনারা এই পদ্ধতিকেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও সাহসী উদ্যোগ হিসাবে গ্রহণ করেছেন এবং আমাদের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
সুতরাং সনাতন সংগঠন এই পরিবর্তনকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
কোন মন্তব্য নেই