ভাগ্য বিশ্বাস আপনাকে পিছিয়ে দিবে, আত্ম নির্ভরশীলতা আপনাকে শ্রেষ্ঠ করবে
ধর্মে বিশ্বাস থাকলে সবাই নিশ্চই গীতাকে বিশ্বাস করেন। সেখানে বলা হয়েছে কর্মে তোমার অধিকার, ফলের চিন্তা করবে না। ফল আপনাতেই প্রাপ্তি হবে।
উদাহরণঃ
স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে একজন কিশোর রাত দিন এক করে ছয় মাস ধরে পরিশ্রম করলো। পরীক্ষার পূর্বের দিন ওর গলায় একটা তাবিজ ঝুলিয়ে দেওয়া হল। ছেলে পরীক্ষায় টিকল। কিন্তু এই ছেলে নিজের যোগ্যাতার উপর নির্ভরশীল হতে পারবে না। ঐ তাবিজ যার কোন ভুমিকাই নেই এর উপর সে নির্ভরশীল হয়ে পড়ল। এই ভাবেই আমরা আমাদের সম্ভাবনা গুলিকে নষ্ট করে দিয়ে থাকি।
হিন্দু জাতি অতিমাত্রায় ভাগ্য নির্ভরশীল। এই ভাগ্য নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত হয়ে আত্ম নির্ভরশীল হতে হবে। পৃথিবীতে যারা শ্রেষ্ঠ তাঁরা আত্মশক্তির উপর বিশ্বাস রেখেই শ্রেষ্ঠ হয়েছে। ভাগ্য বিশ্বাস করেছে যারা ওরা শ্রেষ্ঠ থেকে সংখ্যালঘু হয়েছে।
শ্রী অশোক চক্রবর্তী
প্রতিষ্ঠাতা
সনাতন সংগঠন।
ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য উভয়টাই অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রাপ্ত হয়ে থাকে। অন্যের কর্মের ফলাফল আপনি ভোগ করে থাকেন। আপনার সিদ্ধান্তই মুলত দায়ি। নিজ যোগ্যতা ও প্রচেষ্টার বাইরে কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করলে, প্রত্যাশা করলে ভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের উভয়টাই প্রাপ্ত হবে। প্রতিবার ভাগ্যবান হওয়া যায়না তাই দুর্ভাগ্যকেই বেশিরভাগ সময় বরণ করে নিতে হয়। অসন্তুষ্টি, অপ্রাপ্তি, দুঃখবোধ, যাতনা আপনার স্বাভাবিক ও প্রকৃত শক্তিকে ক্ষয় করে দেয়। যতটুকু শক্তি আপনার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে তাকেও ব্যবহার করতে পারবেন না আপনি। আপনি ভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হতে গেলে যেমন অন্যের সুফল বা দুঃখ আহরণ করে নেন, তেমন ভাবে অন্যরাও আপনার ভাগের অংশ গ্রহণ করে সুখী বা দুঃখী হয়। অর্থাৎ যতটুকু আহরণ হয় এর থেকে বেশি হরণ হয়।
উদাহরণঃ
স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে একজন কিশোর রাত দিন এক করে ছয় মাস ধরে পরিশ্রম করলো। পরীক্ষার পূর্বের দিন ওর গলায় একটা তাবিজ ঝুলিয়ে দেওয়া হল। ছেলে পরীক্ষায় টিকল। কিন্তু এই ছেলে নিজের যোগ্যাতার উপর নির্ভরশীল হতে পারবে না। ঐ তাবিজ যার কোন ভুমিকাই নেই এর উপর সে নির্ভরশীল হয়ে পড়ল। এই ভাবেই আমরা আমাদের সম্ভাবনা গুলিকে নষ্ট করে দিয়ে থাকি।
হিন্দু জাতি অতিমাত্রায় ভাগ্য নির্ভরশীল। এই ভাগ্য নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত হয়ে আত্ম নির্ভরশীল হতে হবে। পৃথিবীতে যারা শ্রেষ্ঠ তাঁরা আত্মশক্তির উপর বিশ্বাস রেখেই শ্রেষ্ঠ হয়েছে। ভাগ্য বিশ্বাস করেছে যারা ওরা শ্রেষ্ঠ থেকে সংখ্যালঘু হয়েছে।
শ্রী অশোক চক্রবর্তী
প্রতিষ্ঠাতা
সনাতন সংগঠন।
কোন মন্তব্য নেই