জানুন অকথহ চক্র সম্বন্ধে-
অকথহ চক্র |
দীক্ষা কালে শিষ্যের সিদ্ধি অসিদ্ধি গণনা করার জন্য এক প্রকার চক্র; অর্থাৎ ইষ্টমন্ত্র শিষ্যের নামের সঙ্গে সুমেলন হয় কি না এবং সেই ইষ্টমন্ত্র শিষ্যের পক্ষে কি প্রকার শুভ ফলপ্রদ হবে, এর দ্বারা তাই নিশ্চিত হয়। প্রথমে ‘অকথহ’ আছে বলে এই চক্রের এ প্রকার নাম হয়েছে। এই চতুরস্র(চারকোনা) ক্ষেত্রটি প্রথমে চার প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। তারপরে, ঐ এক একটি প্রকোষ্ঠ আবার চার চার প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। সুতরাং এতে সর্ব্ব সমেত ১৬ ষোলটি ঘর আছে। গণনার প্রণালী এই, মনে কর শিষ্যের নাম আনন্দচন্দ্র নামের আদ্যক্ষর আকার হতে দক্ষীণদিকে হ্রীং মন্ত্রের আদ্যক্ষর হকার পর্য্যন্ত গণণা করে যেতে হবে। প্রথম আকার প্রকোষ্ঠে-সিদ্ধ। ২য়-সাধ্য। ৩য়-সুসিদ্ধ। ৪র্থ-অরি। এখানে হকার বীজ মন্ত্রের ঘরে অরি পড়ল, সুতরাং মন্ত্রোদ্ধার হল না।
মন্ত্রের ঘরে অরি না পড়লে পুনর্বার ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ গুলি এক একটি করে গণনা করতে হবে। যথা,- অকারের ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ ১ম সিদ্ধ- সিদ্ধ। ২য় সিদ্ধ- সাধ্য। ৩য় সিদ্ধ- সুসিদ্ধ। ৪র্থ সিদ্ধ- অরি। তারপর, নিম্নের বৃহৎ প্রকোষ্ঠের চারটি ঘর ঐ রূপে গণনা করবে। পুনশ্চ, আর একটি বৃহৎ প্রকোষ্ঠের ঘর গণনা করে ক্রমে হ-কারের প্রকোষ্ঠ পর্যন্ত গণনা করে যাবে। এই চক্রের নিয়ম তন্ত্ররাজে লেখা আছে।
বিশ্বকোষ
নিবেদন- সনাতন সংবেদ
কোন মন্তব্য নেই