আর্যপ্রভা-বেদ-২
বেদ-২
(সাধন নীতি)
ললিত কলা(আর্ট) বাহিরের ও অন্তরের সৌন্দর্য প্রকাশক। ঐ কলাকে তিন ভাবে দেখা যায়- সাধারণ শিল্প, মানস শিল্প ও অধ্যাত্ম শিল্প হিসাবে। ঐ শিল্প তিনটির বিভিন্ন লিঙ্গ, পৃথক সূত্র কিন্তু লক্ষ্য একই, সুতরাং ঐ তিন শিল্পের প্রত্যেকটি সাধন। যে সাধন ভাবে সমস্ত চিত্ত বৃত্তি নিরোধ করে অতীন্দ্রিয় রাজ্যের আস্বাদ আনে ও সে ভাবেই জীবনকে গঠন করে, তাকে মানস শিল্প বলা যায়। যোগ একটি মানস শিল্প। নিষ্কাম হয়ে, পবিত্র চিত্তে, শ্রদ্ধা ও বৈরাগ্যের সাথে যে সাধন ভাব আনা যায় ও সেই ভাবে ভাবিত জীবন হয়, তাকে অধ্যাত্ম শিল্প বলা যায়।
সাহিত্য নিজ ভাব বা আদর্শকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে, শিল্প ভাবকে বা আদর্শকে রূপ দেয়। আদর্শকে আকার দেওয়াই শিল্পের বিশেষত্ব। আদর্শ ভাবাত্মক শিল্পই ললিত কলা(আর্ট)। তার ভাষা লিঙ্গাত্মক বা ইঙ্গিতাত্মক। ঐ ভাষায় সুন্দর ভাবকে উচ্চ ও মহান ভাবকে রেখা ও বর্ণে প্রকাশ করে, আর যা প্রকাশ করে তার সমস্ত গুণ ও লক্ষণকে রূপ দিয়ে নতুন ছাঁচ (type) গঠন করে। একাগ্র ও একনিষ্ঠ কর্ম কৌশলই যোগ-মানস শিল্প। এই শিল্প সহায় ভাবকে-সাধনাকে যথাযথ বিনিয়োগ করতে পারা যায়, অন্তরের মানুষটি মাথা চাড়া দিয়ে খাড়া হবার চেষ্টা পায়; আসে তখন শ্রদ্ধার ভাব, আত্ম শ্রদ্ধাও জেগে ওঠে। শ্রদ্ধার জাগরণে পবিত্রতা স্বপ্রকাশ হয়, কারণ পবিত্রতাই ভেতরের স্বভাব। একনিষ্ঠার একান্ত অভাবে বা উচ্ছৃঙ্খলতায় পাঁচটি ভাব এলোমেলো ভাবে মিশে, উদয় হয় যেটা, সেটা অপবিত্রতা বা অশুদ্ধতা। এই যে অন্তর বাহির এক হয়ে একনিষ্ঠ বা শুদ্ধ ভাব জাগিয়ে তোলা অর্থাৎ মন-মুখ এক করা, এটাই অধ্যাত্ম শিল্প।
অধ্যাত্ম ভাব রূপক হয়, যতক্ষণ তা কল্পনায় থাকে। কবি কল্পনায় এটা সুন্দর ও মধুর, কিন্তু যখন উহা সাধক জীবনে প্রতিফলিত হয়, তখন সেটি বাস্তব সত্য। ব্রজভাব কবি কল্পনায় কমনীয় ও মধুর, মহাপ্রভুর জীবনে ব্রজভাব চলমান সত্য। কবি কল্পনাকে মাত্র সুষমা মণ্ডিত করতে পারেন, সাধক তাকে প্রত্যক্ষ করেন। কল্পনার ডাক, তার তোড় জোড়, সবই হৃদয় বৃত্তির সুষমা বিকাশের জন্য; আবাহন ও স্থাপন হয় প্রাণবন্তেরই।
পাশ্চাত্যের যুক্তি, “কল্পনার খপ্পরে পড় না, Idealistic হয়ও না, সেটি Unnatural, অস্বাভাবিক; বাহ্য ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য Nature বা দৃশ্য প্রকৃতিই Realistic বা বাস্তব, অতএব সাধনা Realistic এরই হওয়া উচিত” শিল্প মানে যদি একমাত্র Nature বা বাস্তবকে আকার দেওয়ার প্রচেষ্টাতে পর্যবসিত হয়, সেটি কি ঐ Nature এর একটা অনুকরণ প্রয়াস মাত্র নয়? অনুকরণই কি তৃপ্তিদায়ক, তাতে কি জীবনের সার্থকতা আনে? আমাদের বিশেষত্ব, আমাদের মৌলিকত্ব, আমাদের অন্তর্নিহিত উদ্ভাবনী শক্তির কৌশল আমাদের Creative art-কি প্রস্ফুটিত হবে অনুকরণে? উচ্চ ভাবের প্রকাশ, মানবতার ইঙ্গিত, কি মাত্র অনুকরণে হয়, না হতে পারে? আর কল্পনার নামে নাক সটকানোর কি আছে, অনুকরণেও তো কল্পনার দরকার, বর্ণ ও রেখা ফলাতে গেলেও তা মাথা ঘামাতে হয়? ঐ রকম কল্পনায় রূপ দেখা দিলে, সেটি হয় বাস্তব, আর উচ্চ মহান ভাবকে রূপদান করাটাই বুঝি অবাস্তব, অস্বাভাবিক? পাশ্চাত্য natural (স্বাভাবিক) তিনটি কে বোঝায়, যথা- (১) জীবন সংগ্রাম (Struggle for Existence), (২) বেঁচে থাকার সহজাত বোধ (Instinct of Self-preservation), (৩) বংশবৃদ্ধি (Reproduction of Species) ঐ তিনটে জিনিষ যাতে বজায় থাকে সেটাই পাশ্চাত্যের natural (স্বাভাবিক), আর তার ফলে আসে যোগ্যতমের উদ্বর্তন(Survival of the fittest)। জীবন সংগ্রাম, বেঁচে থাকার ইচ্ছা ও বংশ বৃদ্ধি ঐ তিনটিই- উদ্ভিদ, কীট, অনুকীট ও জন্তু জানোয়ার হতে মানুষ পর্যন্ত সর্ব স্থানেই রয়েছে ও তার ফলে যে যোগ্যতমের উর্দ্ধতন হয়, তার মানে তো দাঁড়ায়, যে দৈহিক বলে বলবানেরই আছে বেঁচে থাকার অধিকার, বুদ্ধির খরচটাও হয় ঐ জন্যে। গতানুগতিক জীবনকে তুচ্ছ করে আপন আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করতে ও জয় করতে, নব নব উপায় আবিষ্কার করতে সদা অগ্রসর যে মানব, সেই মানুষে জৈব প্রয়োজনের (Biological necessity) সব বিধি খাটানো কি সম্ভব? মানব মন চায় সর্বজয়ী হয়ে লাভ করতে তৃপ্তি। পাশ্চাত্য স্বাভাবিকতা, দেহ রক্ষার জন্যই জীবন সংগ্রামে প্রায় সমস্ত শক্তি ক্ষয় করে।
সেখানে কোথায় সৌন্দর্য বোধের অবসর, কোথায় বা তৃপ্তি? উল্লেখিত তিনটিকে ভারত দেখেছেন অন্য দৃষ্টিতে। বেঁচে থাকার ইচ্ছা মানে অন্তর্নিহিত একটি প্রবল প্রেরণা; আর সেই প্রেরণাবশেই আসে জীবন সংগ্রাম। অণু পরমাণু হতে সর্ববস্তু নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখে-সর্বত্রই ঐ ইচ্ছা, অতএব অমরত্বই সর্ব বাস্তবের প্রয়োজিকা শক্তি। পাশ্চাত্য বলেন যে, জীবন সংগ্রামে যোগ্যতমরাই টিকে যায় (Survive করে)। প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রামে কিন্তু আমরা দেখি যে Death, মৃত্যুই বরাবর সকলকে Survive করে, মৃত্যুই চিরজীবী; তা হলে কি Death মৃত্যুই Fittest যোগ্যতম বস্তু? এখানে উত্তর আসে যে, জীব বংশধারা বজায় রেখে মৃত্যুকে ফাঁকি দেয়। এই রকম যুক্তিতে এটাই প্রমাণ হয় যে ব্যক্তিগত হিসাবে, মৃত্যু সকলের টুঁটি চেপে ধরে, কিন্তু বংশধারা বা প্রবাহ রূপে অমরত্বই টিকে থাকে। কিন্তু তাও কি সর্বাবস্থায় ঠিক ? জীব জগতের সর্বক্ষেত্রে এক একটি জাতির লোপ হয় কেন ? জগৎ হতে তাদের অস্তিত্ব মুছে যায় কেন ? কোথায় এখন পৃথিবীর আদিম অবস্থার উদ্ভিদ বা জীবজন্তু ? কোথায় পুরাতন ভারতেতর জাতির সভ্যতা ?
ভারত বলেন, ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য দৃশ্য বিশ্বের, এই Nature এর-বস্তু-মাত্রেরই লক্ষণ অনিত্যতা অর্থাৎ সমস্তই প্রত্যেকটিই পরিণামী ও পরিবর্তনশীল জড়। পরিণাম প্রাপ্তি ও পরিবর্তনশীলতা থাকবেই জড়ে সর্বাবস্থায়। এই পরিণাম প্রাপ্তি প্রভৃতি কে মৃত্যু (Death) আখ্যা দেওয়া হয়। পরিণাম প্রাপ্তি, পরিবর্তন মানে বহুত্ব; অতএব বহুত্ব বন্ধ হলেই, তার পথ রুদ্ধ হলেই, অর্থাৎ তার গতিকে মোড় ফিরিয়ে একত্বের দিকে চালিয়ে দিয়ে ঐ মূল প্রয়োজিকা শক্তির সঙ্গে একাত্মতা বোধ এলেই, আসে অমরত্ব। বেদ বলেন ‘তমেব বিদিত্বাতি মৃত্যুমেতি’, ‘তাকে জানলেই মৃত্যুকে অতিক্রম করা যায়; এই জানা মানে, প্রকৃতির স্বরূপ জানা। এই মৃত্যুকে জয় করা রূপ কৌশলই অধ্যাত্মশিল্প; এখানে বংশ ধারার (Reproduction of Species বা Multiplication এর) প্রশ্নই আসে না-একত্বে বহুত্বের স্থান কোথায় ? ঐ কৌশল অবশ্য ব্যক্তিগত, কিন্তু ঐ প্রয়োজিকা শক্তি প্রত্যেককেই একত্বের পথে চালিত করছে। প্রকৃতির রহস্যই তাই, উদ্দেশ্যও তাই। অধ্যাত্মশিল্পী, ত্যাগ প্রেম ও সংযমের জীবন যাপন করে দেখিয়ে দেন তপস্যার দ্বারা প্রতিপন্ন করেন, যে জৈব সংস্কারকে অতিক্রম করাই স্বাভাবিকতা প্রাপ্তি, বহুত্বে হাবুডুবু খাওয়াটাই অস্বাভাবিক অবস্থা। বেদ বলেন ‘দ্বৈতাৎ ভয়ং’-বহুত্বেই ভয়, বহুত্বেই সংগ্রাম, বহুত্বই অশান্ত অবস্থা। একত্বেই নির্ভিকত্ব, একত্বেই শান্তি, একত্বেই আত্মশ্রদ্ধা, একত্বেই আত্মপ্রত্যয়।
শ্রদ্ধা ভিন্ন চিত্ত প্রসন্নতা আর কিসে বেশী হয়? চিত্তরঞ্জিনী বৃত্তি, সৌন্দর্য, কি শুধু মাংসপেশীর সঠিক চিত্র? চিত্রের পেছনে আসল মানুষটির, যেটা সব চেয়ে বাস্তব, সেটির রূপ ফুটিয়ে তোলা কি সূক্ষ্ম ও গভীর সৌন্দর্যের পরিচয় নয়? অধ্যাত্মশিল্প শাশ্বত কে রূপ দেয়। এই প্রচেষ্টাতে ধ্যান এনে দেয়, যে ধ্যান ঐ শিল্পের সঞ্জীবনী শক্তি। ধ্যানে যে রূপ প্রকাশিত হয় তাতে সর্ব বৃত্তির চরম তৃপ্তি আসে, অপবিত্রতা সেখানে ঘেষতেই পারে না। তাতে একাত্মতার মানবতার স্ফুরণ হয় বলেই সেটি দেশকাল জয়ী চির নতুন, সেটি অন্তরের আর্ট, মানব প্রাণের রূপ। সেটি কোন ব্যক্তিবিশেষে আবদ্ধ নেই বলেই সনাতন ও সত্য স্বরূপ। অধ্যাত্মশিল্পী বলেন যে তন্ময়তা হৃদয়ের আত্যন্তিক আগ্রহ আর্টকে প্রত্যক্ষ করায়, বর্ণ ও রূপে আর্ট সামনে এসে দাঁড়ায়, বাস্তব হয়ে দাঁড়ায়। এই যে সাধন পথ তার অর্থ টিকি বা হাঁচি টিকটিকির ব্যাখ্যার মত রূপক নয়। ললিতকলা বা আর্ট ভাবকেই রূপ দেয়; শিল্পীর আদর্শ ফুটে ওঠে। প্রশ্ন এই যে, অধ্যাত্ম আর্ট কি সেই রূপকে চলমান জীবন্ত প্রাণ সম্পন্ন বাস্তবে পরিণত করতে পারে না ?
আর এক দিক দিয়ে পাশ্চাত্য Survival of the fittest কীট পতঙ্গ, জন্তু জানোয়ার, জীবন সংগ্রামে জয়ী হয়ে বাঁচে, একটা আরেকটাকে মেরে। মানুষকে জীবন রক্ষা করতে হলে ঐ উপায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য করে এগুতে হয়। মানুষ কি ঐ পশুনীতি অতিক্রম করতে পারেনা ? ওরকম জীবন সংগ্রাম মানে যুদ্ধ ও সংঘর্ষ। পরিবর্তন ও পরিণাম মানে মৃত্যু। যুদ্ধ ও সংঘর্ষ বরণ করে, মৃত্যু বরণ করে, বেঁচে থাকার যে ইচ্ছা, তার মানে কি ? মৃত্যু বরণ করে কি Survive করা যায় ? বংশধারা রক্ষাতেই মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায়, এই যুক্তি মেনে নিলে দাঁড়ায় – (১) মার ধোর করে বেঁচে reproduction করে fittest হওয়া, ও Survive করা, (২) বংশধারা বজায় রাখাতেই রয়েছে অমরত্ব। অমরত্বর কি তা হলে fittest নয়? ভারত বলেন, সংগ্রাম থাকবেই কিন্তু
“সংগ্রাম অপার সদা পরাজয় তাহা না ডরাক তোমা
চূর্ণহোক স্বার্থ সাধ মান হৃদয় শ্মশান নাচুক তাহাতে শ্যামা।”
ঐ কবিতার অর্থ নিয়ে আলোচনা এখানে উদ্দেশ্য নয়, উক্ত দুই লাইনের অর্থ পরিস্কার। আর এক কথা; fitness বা যোগ্যতা আছে বলেই সংগ্রামরত দল সংঘর্ষে অগ্রসর হয়, fitness বা যোগ্যতা আছে বলেই একজন বা উভয়েই Survive করে। Fitnessটি সর্বদাই আছে। দেখা যায়, মানুষের মধ্যে সৈন্যশক্তি দুর্বল অথবা যুদ্ধ উপকরণ দুর্বল দলও বুদ্ধিবলে জয়ী হয়-fit হয়। এখানে পশুবল অপেক্ষা বুদ্ধিবল প্রধান, পশুজগতের নিয়ম মানুষ এখানে অতিক্রম করেছে। জীব হলেই জৈবিক প্রয়োজন থাকবে, এই প্রয়োজনবোধ সহজাত। পশু তার প্রয়োজন বা অভাবকে কমাতে জানেনা ও পারেনা। অভাব মেটাবার জন্য লড়াই করতে সে বাধ্য। মানুষের কিন্তু এমন শক্তি আছে যার সহায়তায় সে তার সমস্ত অভাবকেই-তার তাড়নাকেও-অতিক্রম করতে পারে ও জানে। অভাব তৃপ্তির কৌশলও সে জানে। পশুর জীবন রক্ষার বিধি মানুষে খাটালে, মানুষ পশুত্ব প্রাপ্ত হয়। ভারতের Struggle for Existence মানে আত্মরক্ষা-আত্মাকে রক্ষা- পাকা আমি’কে দেহ, মানবুদ্ধিবদ্ধ কাঁচা আমির তাড়নার অভিযান হতে রহ্মা করা, বজায় রাখা, পাকা আমিত্ব প্রাপ্ত হওয়া। ভারত বলেন- সংঘর্ষ ও লড়াই তাই তোমার কাঁচা আমির সঙ্গে, তোমার অন্তঃ প্রকৃতির ও বহিঃ প্রকৃতির সঙ্গে। কাঁচা আমির গোলামী করাকে স্বাধীনতা বলেনা। ‘স্ব’ কে ফুটিয়ে তোলাই দেহ মনবুদ্ধির ঐ ‘স্ব’ এর অধীন হয়ে চলাই স্বাধীনতা। যে শক্তি সর্বত্র ঠেলা দিয়ে ক্রমাগত আত্ম বিকাশ করার চেষ্টা করছে, তা রয়েছে সকলের মধ্যে, অতএব যোগ্যতা আছে সকলের। জীবের মধ্যে মানুষেই ঐ শক্তি সর্বাপেক্ষা বিকশিত বা উন্নত বলেই, মানুষই ঐ একত্ব পাবার যোগ্যতম আধার। মানুষ যে অমৃতের অধিকারী এটা জানা দরকার প্রত্যেকের। এই জানা মানে কেবল তোতাপাখীর মত বচন আবৃত্তি নয়, খালি মাথা দিয়ে বুঝে ফেলা নয়। বেদ বলেন-
“তস্যৈ তপো দমঃ কর্ম্মেতি প্রতিষ্ঠা বেদাঃ সর্ব্বাঙ্গাণি সত্যমায় তনম”। (কেন ২-৩৩)
সত্যায়তন সাঙ্গ বেদ- তপস্যা, দম(বৈরাগ্য) ও কর্মে প্রতিষ্ঠিত। অতএব, জানা মানে সাধন ফল। যাঁরা বলেন যে সত্য লাভের জন্য তপস্যার দরকার নেই বা উপাসনাদি কর্মের দরকার নেই- সে সব চেষ্টারও আবশ্যকতা নেই, ঐ সব লোকের সঙ্গে ব্যবহারে শাস্ত্রকারেরা সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন, তন্ত্র শাস্ত্র তো তাঁদের ভণ্ড, প্রবঞ্চক ইত্যাদি আখ্যায় ভূষিত করেছেন। শাস্ত্রজ্ঞান ও তত্ত্বজ্ঞান এক জিনিষ নয়, আলোচনা ও জানা এক বস্তু নয়। আদর্শকে ছোট করে দেখার অধিকার কারোর নেই। জীবনযাপন চেষ্টা বিহীন মুরুব্বিয়ানা বড় বড় কথার মূল্য কতটুকু ?
ক্রমশঃ
উল্লেখা আর্যপ্রভার লেখা সমূহ পড়ে আপনার মতামত জানাবেন। এবং কপি নয় শেয়ার করার মাধ্যমে আমাদের সহায়তা করুন-
কোন মন্তব্য নেই