sanatansangbed

Introduction of SANATAN dharma scriptures

সনাতন সংগঠনের আগামী কর্ম পরিকল্পনা

সনাতন সংগঠনের আগামী কর্ম পরিকল্পনা-


১। শিশুদের ধর্মীয় ও নীতি শিক্ষায় অভ্যস্ত করার নিমিত্তে পারিবারিক সচেতনতা সৃষ্টি করা

২। কর্ম উপযোগী দক্ষ যুব সমাজ গঠনের নিমিত্তে যুব জাগরণকে ত্বরান্বিত করা

৩। পেশাজীবী সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ও তাঁদের অভিভাবকদের পেশা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা। শিক্ষার-পেশাগত উপযোগিতা সম্পর্কে ধারণা প্রদান। কিভাবে কোন পথে নিজেদের যোগ্যতাকে বৃদ্ধি করতে পারবে সেই সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা। সহযোগিতার বলয় সৃষ্টি করে যোগ্য যুবকদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা। পেশাভিত্তিক ফোরাম গঠন করা।

৪। যৌথ পারিবারিক প্রথার পুনঃপ্রচলন করা। যৌথ পরিবারের সুবিধা সম্পর্কে সনাতন সম্প্রদায়কে সচেতন করা

৫। মন্দিরভিত্তিক বিয়ের মাধ্যমে কন্যার পিতাকে অপব্যয় হতে মুক্ত করা। মন্দির ভিত্তিক লাইব্রেরী ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবানের জন্যে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি করা।

৬। যৌতুককে না বলুন, যোগ্যতা না থাকলে চিরকুমার থাকুন। এই যৌতুক প্রথা আমাদের কন্যাদের দেবী থেকে দায়ে পরিণত করেছে। বিয়েতে যৌতুক, অপব্যয় ও অতিব্যয় রোধ করে আমরা তাঁদেরকে পুনরায় দেবী রূপেই প্রতিষ্ঠিত করব।

৭। ধর্মান্তরিত হলে পিতা-মাতার সম্পদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, এই সাপেক্ষে সন্তানদের সম্পদের অধিকার প্রদান করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও আইন প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে সম্পদের লোভের কারণে একটা সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করে দেবার জন্যে, আমাদেরকে ঘৃণা করে এবং একই কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের ধর্মান্তরিত করণের চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানে ধর্মান্তরকরণকে আমরা বন্ধ করতে সদা সচেষ্ট থাকব।

৮। মাতৃ সম্মেলন করে নারীদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ধর্মান্তরিতকরণ বন্ধ করা

৯। রাজসিক ও তামসিক নয় সাত্ত্বিক পূজার প্রচলনের জন্যে প্রচারণা করা। শব্দ দূষণ বন্ধ করা এবং DJ নামক অপসংস্কৃতি থেকে মুক্ত হয়ে সু-সংস্কৃতিতে প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি করা।

১০। সামাজিক কু-সংস্কারগুলিকে চিহ্নিত করে এর সু-সংস্কারকে পরিচিত করে দেওয়া

১১। দেবী প্রতিমার অবয়ব মাতৃরূপে গঠন করুন, স্বল্পবসনা বা দৃষ্টিকটু ভাবে নয়। এই বিষয়ে সনাতন সম্প্রদায়কে সচেতন করা। রাজসিক ও তামসিক নয় সাত্ত্বিক পূজার প্রচলন চাই। প্রতিটা পূজার উদ্যোগ হতে অতিব্যয় ও অপব্যয় হ্রাস করে সেই অর্থকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করার জন্যে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টিকরা।

১২। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিজ্ঞান, চিকিৎসা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদ, উপনিষদ, গীতা ও পুরাণের যুগ-উপযোগী মতামতগুলিকে প্রচার করা

১৩। আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে সেমিনার করা এবং এর মাধ্যমে আমাদের সম্প্রদায়কে সচেতনতা বৃদ্ধি পূর্বক আইনি সহায়তা প্রদান করা। দরিদ্র অথচ ভুক্তভোগীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করা।

১৪। শুধু বনজ নয়, ফুলজ ও ফলজ বৃক্ষ রোপণ পূর্বক প্রাণীকুলকে রক্ষা করা এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে সচেতনতা সৃষ্টি করা

১৫। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে রোগমুক্ত থাকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। উপশম থেকে প্রতিকার শ্রেয়। সুষম খাদ্য তালিকা সম্পর্কে সনাতন সম্প্রদায়কে সচেতন করা। চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য গঠনে সহায়তা করা।

১৬। তীর্থ ভ্রমণের উদ্যোগ নিয়ে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন করা এবং বিভিন্ন মন্দিরের সাথে মত বিনিময় করে সংগঠনের কাজগুলি সম্পর্কে তাঁদের সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা

১৭। ডক্টরস ফোরাম, লয়ার ফোরাম, টিচার্স ফোরাম, স্টুডেন্টস ফোরাম, সাংস্কৃতিক ফোরাম, পেশাজীবী ও শ্রমজীবী দের নিয়ে ফোরাম গঠন করে আগ্রহী, জ্ঞানী, গুণী ও প্রতিষ্ঠিত মানুষদের উন্নয়নের ধারায় ঐক্যবদ্ধ করা।

১৮। গুরুকুল অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সনাতন সম্প্রদায়কে জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, ইতিহাস-চর্চা ও ধর্মীয় জ্ঞানে উন্নত থেকে উন্নততর করা।
নিবেদনে- সনাতন সংগঠন, বাংলাদেশ। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.