sanatansangbed

Introduction of SANATAN dharma scriptures

সীতাকুণ্ড সমাচার ; পর্ব- ৩

নতুন কমিটির সম্পাদ চন্দন দাশ ঘোষণা দেন; সীতাকুণ্ডের উন্নয়নের জন্যে কাজ করতে আগ্রহী যে কোন ডোনার স্রাইন কমিটির পরিকল্পনার মধ্যে থেকে নিজেই উন্নয়নের কাজ করতে পারবেন, স্রাইন কমিটিকে এক টাকাও দিতে হবেনা। পূর্বে উন্নয়নের জন্যে দান করতে চাইলে স্রাইন কমিটিকে টাকা দিতে হত এবং সেই দানের অর্থের একটা অংশ ব্যক্তিগত পকেটে চলে যেত বলেই স্থানীয় মানুষরা আমাদের জানিয়েছে। নতুন করে সম্পাদকের এই ঘোষণার পর দানশীল মানুষরা নানান ভাবে সহায়তা করতে থাকেন। ব্যাসকুণ্ডে, ভবানী মন্দির, স্বয়ম্ভূ নাথে ব্যাপক সংস্কারের কাজ হয়। যেহেতু ফাণ্ডে টাকা ছিলনা সেহেতু পাহাড়ের পথকে আপাতত চালাতে পারে সেই ভাবেই সংস্কারের কাজ করতে হয়।
উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা দেখে চন্দ্রনাথ তীর্থে তীর্থযাত্রীদের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু চাহিদা অনুপাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করবার মত অর্থ নতুন কমিটির ফাণ্ডে ছিলোনা। ফলে মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু সেই চাপকে সামাল দেওয়ার জন্যে যে সংস্কার কাজ করতে হবে তা করা সম্ভব হচ্ছিল না।
এপর্যায়ে কথা আসছে এতো সম্পদ আছে এবং এতো এতো তীর্থ যাত্রী যাচ্ছে তাঁদের দেওয়া প্রনামীর টাকা যাচ্ছে কোথায়?
প্রাই তিন বছর হয়ে গেলো কিন্তু এখনো সীতাকুণ্ডের স্রাইন কমিটির সম্পদের তালিকা ও দলীল নতুন কমিটির সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। নতুন কমিটির সম্পাদক স্রাইন কমিটির টাকা থেকে এক কাপ চাও পান করেন না। উনার সততার প্রতি আস্তাশীল হয়ে এলাকার কিছু কিছু লোক যারা স্রাইনের সম্পদ লিজ নিয়ে আছেন তাঁরা বিগত দুই বছর ধরে কিছু কিছু লীজের অর্থ জামা দেওয়া শুরু করেছে। এই ফাণ্ড থেকে বছরে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার বেশি আসেনি। সম্পদের হিসাব নিতে অনেকবার মিটিং হলেও নানান ভাবে পূর্বের সুবিধাভোগীরা মিটিংএর পরিবেষ নষ্ট করে দিয়ে সম্পদের হিসাবের বিষয়টা আড়ালে রাখা হয়েছে। কমিটির ২১ জন সদস্যের বেশিরভাগ ইনেক্টিভ ও নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ৬০ থেকে ৭৫ ভাগ সদস্য মিটিংএ উপস্থিত থাকতে পারেন না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং গুলি থেকে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়না।

~ চলবে ~

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.