অকড়ম চক্র (সিদ্ধ মন্ত্র নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন)
অকড়ম একটি চক্র, প্রথমে অকড়ম আছে বলে এই চক্রের এ প্রকার নাম হয়েছে। দীক্ষাকালে এই অকড়ম চক্র দিয়ে গুরু, শিষ্যের সিদ্ধি প্রভৃতি গণনা করেন। রুদ্রযামলে এর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। ইষ্ট মন্ত্র শিষ্যের জন্য শুভ ফলপ্রদ হবে কি না তাই স্থির করা এই চক্রের উদ্দেশ্য। যদিও রুদ্রযামলের মতে এটা গোপাল মন্ত্রে প্রশস্ত, কিন্তু তন্ত্রে ও এর ব্যবস্থা আছে।
গণনা করার প্রক্রিয়া এই,
মনে কর শিষ্যের নাম অমর নাথ এবং বীজমন্ত্র হ্রীং। তাহলে অমর নাথ নামের আদ্যক্ষর অ-কারের প্রকোষ্ঠ হতে বাম দিকে গণনা করে আসবে। প্রথম প্রকোষ্ঠে- সিদ্ধ। দ্বিতীয়- সাধ্য। তৃতীয়- সুসিদ্ধ। চতুর্থ- অরি। যতক্ষণ না বীজ মন্ত্রের ঘর পাওয়া যাবে সে পর্যন্ত ঐভাবে কোষ্ঠে কোষ্ঠে সিদ্ধ, সাধ্য সুসিদ্ধ, অরি, যথাক্রমে গণনা করে আসবে। বীজ মন্ত্রের ঘরে সিদ্ধ, সাধ্য কিম্বা সুসিদ্ধ হলে মন্ত্রোদ্ধার হয় এবং গুরু সেই মন্ত্রে শিষ্যকে দীক্ষা করতে পারেন। কিন্তু, সুসিদ্ধ মন্ত্রের ফল অধিক, কারণ তার দ্বারা সাধক অনায়াসে সিদ্ধ হতে পারেন। সিদ্ধাদির ফল তেমন নয়।
এ প্রকার গণনায় বীজ মন্ত্রের ঘরে ‘অরি’ পড়লে, মস্ত্র উদ্ধার হয় না। তেমন স্থানে গুরু, শিষ্যের আর একটা নূতন নাম রেখে মন্ত্র উদ্ধার করেন। হিন্দু ধর্মের প্রতি যাঁদের অচলা ভক্তি আছে, সে সকল লোক বালকদের নামকরণ কালেই বিশেষ সতর্ক হন। যে নাম রাখলে গণনায় মন্ত্র উদ্ধার হয় না, তারা সস্তানদের কদাচ তেমন নাম রাখেন না।
সিদ্ধ মন্ত্রে দীক্ষিত হলে শিষ্য অনেক কালে সিদ্ধ হতে পারেন। সাধ্যমন্ত্র নিলে তিনি জপ ও হোমাদি দ্বারা সিদ্ধ হন। সুসিদ্ধ দ্বারা মন্ত্র গ্রহণ মাত্র সিদ্ধ হন; কিন্তু অরিমন্ত্র সাধককে বিনষ্ট করে।
ভ্রমক্রমে গুরু কাউকে অরিমন্ত্র দান করলে শিষ্য যদি তা জানতে পারেন, তবে সে মন্ত্র ত্যাগ করা আবশ্যক। মন্ত্র ত্যাগের দুইটি প্রকরণ আছে। তন্ত্র কৌমুদীর মতে, বট পাতায় অরিমন্ত্র লিখে তা স্রোতোজলে ভাসিয়ে দিলেই মন্ত্র ত্যাগ করা হয়। তন্ত্র রাজের মতে, দ্রোণ পরিমিত গোদুগ্ধে একশত আটবার অরিমন্ত্র জপ করে স্রোতো জলে তার কিছুটা পান করবেন। পরে পুনর্বার মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক বাকি দুগ্ধ পরিত্যাগ করলে মন্ত্র ত্যাগ করা হয়।
নিবেদনে- সনাতন সংবেদ।
গণনা করার প্রক্রিয়া এই,
মনে কর শিষ্যের নাম অমর নাথ এবং বীজমন্ত্র হ্রীং। তাহলে অমর নাথ নামের আদ্যক্ষর অ-কারের প্রকোষ্ঠ হতে বাম দিকে গণনা করে আসবে। প্রথম প্রকোষ্ঠে- সিদ্ধ। দ্বিতীয়- সাধ্য। তৃতীয়- সুসিদ্ধ। চতুর্থ- অরি। যতক্ষণ না বীজ মন্ত্রের ঘর পাওয়া যাবে সে পর্যন্ত ঐভাবে কোষ্ঠে কোষ্ঠে সিদ্ধ, সাধ্য সুসিদ্ধ, অরি, যথাক্রমে গণনা করে আসবে। বীজ মন্ত্রের ঘরে সিদ্ধ, সাধ্য কিম্বা সুসিদ্ধ হলে মন্ত্রোদ্ধার হয় এবং গুরু সেই মন্ত্রে শিষ্যকে দীক্ষা করতে পারেন। কিন্তু, সুসিদ্ধ মন্ত্রের ফল অধিক, কারণ তার দ্বারা সাধক অনায়াসে সিদ্ধ হতে পারেন। সিদ্ধাদির ফল তেমন নয়।
এ প্রকার গণনায় বীজ মন্ত্রের ঘরে ‘অরি’ পড়লে, মস্ত্র উদ্ধার হয় না। তেমন স্থানে গুরু, শিষ্যের আর একটা নূতন নাম রেখে মন্ত্র উদ্ধার করেন। হিন্দু ধর্মের প্রতি যাঁদের অচলা ভক্তি আছে, সে সকল লোক বালকদের নামকরণ কালেই বিশেষ সতর্ক হন। যে নাম রাখলে গণনায় মন্ত্র উদ্ধার হয় না, তারা সস্তানদের কদাচ তেমন নাম রাখেন না।
সিদ্ধ মন্ত্রে দীক্ষিত হলে শিষ্য অনেক কালে সিদ্ধ হতে পারেন। সাধ্যমন্ত্র নিলে তিনি জপ ও হোমাদি দ্বারা সিদ্ধ হন। সুসিদ্ধ দ্বারা মন্ত্র গ্রহণ মাত্র সিদ্ধ হন; কিন্তু অরিমন্ত্র সাধককে বিনষ্ট করে।
ভ্রমক্রমে গুরু কাউকে অরিমন্ত্র দান করলে শিষ্য যদি তা জানতে পারেন, তবে সে মন্ত্র ত্যাগ করা আবশ্যক। মন্ত্র ত্যাগের দুইটি প্রকরণ আছে। তন্ত্র কৌমুদীর মতে, বট পাতায় অরিমন্ত্র লিখে তা স্রোতোজলে ভাসিয়ে দিলেই মন্ত্র ত্যাগ করা হয়। তন্ত্র রাজের মতে, দ্রোণ পরিমিত গোদুগ্ধে একশত আটবার অরিমন্ত্র জপ করে স্রোতো জলে তার কিছুটা পান করবেন। পরে পুনর্বার মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক বাকি দুগ্ধ পরিত্যাগ করলে মন্ত্র ত্যাগ করা হয়।
নিবেদনে- সনাতন সংবেদ।
কোন মন্তব্য নেই